ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

রাজশাহীতে মেস বন্ধে বিপাকে শিক্ষার্থীরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৪ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮
রাজশাহীতে মেস বন্ধে বিপাকে শিক্ষার্থীরা মেস বন্ধ রাখার বিজ্ঞপ্তি

রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে নগরের অধিকাংশ মেস। অন্যদিকে, নির্বাচনের সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট), রাজশাহী মেডিকেল কলেজসহ সিটি করপোরেশন এলাকায় অবস্থানরত হাজারও শিক্ষার্থী।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ ও মেস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে মেস বন্ধের নির্দেশনা না থাকলেও মেস মালিকেরা নিজ উদ্যোগে মেস বন্ধ করে দিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।

তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে গত ১৬ জুলাই বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

আগামী ২৭ জুলাই দিনগত রাত ১২টার আগে বহিরাগতদের নির্বাচনী এলাকা ছাড়তে হবে। ভোটার ব্যতিত অন্য কোনো এলাকার বাসিন্দা নির্বাচনী সীমানার ভেতরে অবস্থান করতে পারবেন না। তবে এ নির্দেশনার আওতায় যারা ব্যবসা বা কোনো বিশেষ প্রয়োজনে নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করছেন তাদের ছাড়তে হবে না।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি) কমিশনার হাফিজ আক্তার বাংলানিউজকে জানান, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেস বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে নির্বাচনের সময় বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মেসগুলোতে বহিরাগত না রাখার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, মেস মালিকরা বলছেন- নির্বাচন কমিশনের ঘোষণানুযায়ী নির্বাচনকালীন রাজশাহীতে ভোটার ব্যতিত অন্য কেউ অবস্থান করতে পারবেন না, এমন ঘোষণার ভিত্তিতে তারা মেস বন্ধ করে দিয়েছেন।

সূত্র জানায়, মেস মালিক মধ্যে যারা বিএনপি-জামায়াতপন্থী তারাই দ্রুত মেসগুলো বন্ধ করে দিয়েছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেসগুলোতে পুলিশি তল্লাশি শুরু হবে। যেসব মেসে তল্লাশি চলে সেই মেসগুলোতে পরে শিক্ষার্থীরা আর ওঠতে চান না। এই জন্যই অধিকাংশ মালিকরা ঘোষণা আগেই মেস বন্ধ করে দিয়েছেন।

নগরের ‘হাবলার’ নামের মেসের মালিক আবু ওয়াহিদ বলেন, ‘মেস মালিকের পক্ষ থেকে মেস বন্ধের কোনো সিদ্ধান্ত আমাদের দেওয়া হয়নি। তবে আশে-পাশের অনেক মেস বন্ধ করে দেওয়ায় আমিও বন্ধ করে দিয়েছি। ’

মেস মালিকদের এমন সিদ্ধান্তে ক্ষোভপ্রকাশ করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাতাহ ইশতিয়াক বলেন, মেস মালিক ২৬ জুলাইয়ের মধ্যে মেস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু ওই সময় ক্লাস-পরীক্ষা চলবে। কোথায় থাকবো তা নিয়ে চরম দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছি।

জানতে চাইলে মেস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঈসমাইল হোসেন বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে আমাদের মেস বন্ধ রাখার জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে মেসের সদস্য ব্যতিত বহিরাগত কাউকে রাখা যাবে না। আর আমরা কোনো মেস মালিককে মেস বন্ধের সিদ্ধান্ত দেইনি। যারা বন্ধ করছেন তারা নিজ উদ্যোগে করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, জুলাই ২৫, ২০১৮
এসএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।