ঢাকা: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এ ছাড়াও জনগণের দাবি হিসেবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনও (ইসি) পুনর্গঠন হবে।

রোববার (২২ জুন) নির্বাচন ভবনে দল নিবন্ধন আবেদন জমা দেওয়া পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এমন মন্তব্য করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী।

তিনি বলেন, পার্লামেন্ট এখন খালি রয়েছে। ঐকমত্য কমিশন অনুযায়ী জাতীয় সংসদের ৪শ আসনের মধ্যে ৩শ আসন পেয়ে এনসিপি জাতীয় সরকার গঠন করবে। জনগণের ম্যান্ডেন্ট নিয়ে ব্যালট বিপ্লব সম্পন্ন করবে এনসিপি।

আমরা সারা দেশে কথা বলেছি। অনেক জায়গায় অফিস নিতে গেয়েছি বাধা দেওয়া হয়েছে। কমিটি গঠন করতে গিয়েছি ছলচাতুরির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এই হলো দেশের রাজনৈতিক কালচার। সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আজ এই অবস্থায় এসেছি। ৫ তারিখের অভ্যুত্থানে যেভাবে মানুষের জয় হয়েছিল, সেভাবে আগামী নির্বাচনে ভোট ব্যাংকে এনসিপির শাপলা প্রতীকে পুরো দেশের মানুষ জয়জয়কার করে দেবে। এনসিপির নেতৃত্বে নতুন সরকার গঠন হবে।

তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা ‍দ্বিতীয় প্রতীক হিসেবে রেখেছি কলম, তৃতীয় প্রতীক হিসেবে রেখেছি মোবাইল। তবে আমরা প্রত্যাশা করবো আমাদের যাতে শাপলাই দেওয়া হয়। আমরা পাঁচ লাখ মানুষের ডাটা এনেছি। অধিকাংশ মানুষ এনসিপিকে চায় শাপলা প্রতীকে।  

তিনি বলেন, আমরা ১শ উপজেলা, ২৫টি জেলা কমিটির শর্তপূরণ করেছি। ট্রাকে করে আমরা ডকুমেন্ট আনছি। দিনরাত পরিশ্রম করে সব শর্ত পূরণ করেছি। আশা করি, অতি দ্রুত নিবন্ধন পাবো। এবং আগামী সরকার গঠন করতে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ।

এক প্রশ্নের জবাবে এনসিপির এই নেতা বলেন, ইসি একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু গত ১৫ বছরের এই সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করা হয়েছে। ইসির যেমন পুনর্গঠন করতে হবে, তেমনি নিয়ম নীতিরও পরিবর্তন করতে হবে। এই কমিশনকে আমরা পুনর্গঠন করতে চাই, শক্তিশালী করতে চাই। আমরা এখনো বলছি ইসি পুনর্গঠন প্রয়োজন।  

ইসি পুনর্গঠন না হলে এই কমিশনের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, বাংলাদেশে অনেক প্রতিষ্ঠানের সংস্কার কার‌্যক্রম শুরু হয়েছে। দেশের মানুষ চায় পুনর্গঠন। পুনর্গঠন না হওয়ার কোনো উপায় নেই। যেহেতু এটা জনগণের দাবি, ইসি পুনর্গঠন হতেই হবে। পুনর্গঠন হবে। আমরা বিকল্প বি অপশনে যাচ্ছি না।  

এ সময় দলটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিনসহ এনসিপি’র অন্য নেতা কর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ইইউডি/এএটি