ঢাকা, সোমবার, ৩ আষাঢ় ১৪৩২, ১৬ জুন ২০২৫, ১৯ জিলহজ ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কারো হুকুমে, কারো নির্দেশনায় কাজ করবো না: সিইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৪, জুন ১৫, ২০২৫
কারো হুকুমে, কারো নির্দেশনায় কাজ করবো না: সিইসি প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিন

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, কারো হুকুমে, কারো নির্দেশনায় আমরা কাজ করবো না। কেউ যদি মনে করেন ব্যালট বাক্স লুট করে নিয়ে যাবেন, কেন্দ্র দখল করে জিতে যাবো, তারা দিবাস্বপ্নে আছে।

রোববার (১৫ জুন) নির্বাচন ভবনের নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।

সিইসি বলেন, এখন নরমালি বিবেচনা করলে হবে না। এটা একটা বিশেষ পরিস্থিতি। বিশেষ পরিস্থিতি বিশেষ ধরণের সরকার। শাসনতন্ত্র যেটা আছে সেটা হলে তো সংসদ ভেঙে যাওয়ার তিন মাসের মধ্যে করে ফেলতে পারতাম। যেহেতু এখন বিশেষ ধরনের সরকার, বিশেষ পরিস্থিতি, সরকার সংস্কারের বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে আলোচনা করছে। বিচার হচ্ছে, সেটা যেন ত্বরান্বিত সে আলোচনাও করছে সরকার। এখন এগুলো নিয়ে সরকারই আলোচনা করছে এখনো পর্যন্ত। আমাদের ধারণা হচ্ছে, আশা করছিলাম যে সরকারের পক্ষ থেকে একটা তারিখ ঘোষণা হবে। এখন লন্ডন ঘোষণায় দায় দায়িত্ব কিছুটা আমাদের ওপরে...। বিস্তারিত কিছু জানি না। সরকারের সঙ্গে আমাদের একটু কথাবার্তা না হলে, কোনো নির্দেশনার জন্য নয়। আমরা কারো নির্দেশনায় কাজ করবো না। একদম এটা পরিস্কার। আমরা কারো হুকুমে, কারো নির্দেশনায় আমরা পরিচালনায় আমরা কাজ করবো না। এটুকু আজকে আমাদের কর্মকর্তাদের বলেছি।

তিনি আরো বলেন, কোনো দলীয় স্বার্থে নয়, নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করবেন এটা কর্মকর্তাদের আজ বলেছি। জাতির উদ্দেশে বলতে চাই কেউ যদি মনে করেন ব্যালট বাক্স লুট করে নিয়ে যাবেন, কেন্দ্র দখল করে জিতে যাবো, তারা দিবাস্বপ্নে আছে। এটা এবার হতে দেবো না ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, সবাই সুন্দর নির্বাচন চায় বলছে। তাহলে আমাদের দ্বিধা দ্বন্দ্ব কেন? কিছু লোক আছে যারা মতলববাজ, নির্বাচন আসলে পথ থেকে ভোটারদের সরিয়ে দেবে, ভোট বাক্স লুট করে নিয়ে যাবে, সেই সুযোগ এবার পাবে না।  এটা আমি নিশ্চয়তা দিচ্ছি।

রোডম্যাপ কবে দেবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, লন্ডনে যা আলোচনা হয়েছে এর বাইরে আমার কোনো নলেজ নেই। প্রধান উপদেষ্টা যেটা বলেছেন আমি মিডিয়ায় দেখেছি। সরকারের সঙ্গে আমাদের এখনো আলোচনা হয়নি। আমারা আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবছি, যখনই হয় যেন ভোট করতে পারি। সরকারের সঙ্গে আলোচনা ভাব বুঝতে পারবো কখন ডেট দিতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ইয়ঙ্গার জেনারেশনকে ভোটাধিকারের সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছি। তফসিল ঘোষণার সময় ভোটার তালিকা রেডি থাকতে হবে। এজন্য আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনার কথা ভাবছি৷ যথাসম্ভব চেষ্টা করবো তরুণ প্রজন্মকে যাতে যুক্ত করা যায়। তফসিল ঘোষণার সময় তরুণদের ভোটারযোগ্য হতে হবে।

আগামী ২ জানুয়ারি যাদের ১৮ বছর হবে তারা ভোট দিতে পারবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা সর্বোচ্চ সংখ্যক তরুণদের সুযোগ দিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা সীমানা নির্ধারণ নিয়ে সিরিয়াসলি কাজ করছি। ভোটার তালিকা নিয়েও কাজ চলছে। দল নিবন্ধনের আবেদন ২২ জুন পর্যন্ত নেওয়া হবে।

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমার বিশ্বাস দলগুলো তারাও দেশপ্রেমিক, কিন্তু রাজনৈতিক কারণে অনেক কথা বলতে হয়। কর্মকর্তাদের বলেছি রাজনৈতিক সচেতন থাকবেন, তবে রাজনীতি করবেন না। অনেক বাধা বিপত্তি আসবে৷ ফেরেশস্তাও এনে দিলেও তো পক্ষে বিপক্ষে থাকবে। বিরুদ্ধে বলতে তাই আহত হই না। কারণ কেউ সমালোচনা করলে বোঝা যায় কেউ বিচার করছে, নিজেদের শোধরানোর সুযোগ থাকে।


ইইউডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।