ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

খুলনা বিভাগে চেয়ারম্যান পদে ৮৪ জনের মনোনয়নপত্র জমা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
খুলনা বিভাগে চেয়ারম্যান পদে ৮৪ জনের মনোনয়নপত্র জমা

খুলনা: দেশে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে নয়টি জেলার ১৮টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৮ মে এ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের কথা রয়েছে।

নির্বাচনে বিভাগের ১০ জেলার একমাত্র খুলনার কোন উপজেলায় প্রথম ধাপে নির্বাচন নেই।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে ৮৪ প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। সোমবার (১৫ এপ্রিল) ছিল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।

প্রথম ধাপের এ নির্বাচনে খুলনা বিভাগের বেশ কয়েকটি উপজেলাতে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপি ও জামায়াত নেতা। তারা অনলাইনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে নির্বাচন বর্জন করে আসছে বিএনপি ও জামায়াত। কিন্তু এবার নির্বাচন বর্জনে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেই ওইসব উপজেলায় দল দুটির নেতারা প্রার্থী হয়েছেন।

খুলনা বিভাগের ৯ উপজেলায় চেয়ারম্যান প্রার্থী যারা

বাগেরহাট

বাগেরহাট সদরে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সভাপতি সর্দার নাসির উদ্দিন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। তিনি ছাড়া এই উপজেলায় অন্য কোনো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। কচুয়া উপজেলায় ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আশরাফি জেমস, বর্তমান চেয়ারম্যান ও কচুয়া উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমা সরোয়ার, রাড়িপাড়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক এস এম মাহফুজুর রহমানের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু, জেলা আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক কে এম ফরিদ হাসান।

রামপাল উপজেলায় ৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন, রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জামিল হাসান, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ মো. আবু সাইদ, রামপাল উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আবদুল মান্নান ও জামায়াতের জেলা শাখার সহকারী সেক্রেটারি মো. ইকবাল হোসেন।

যশোর

যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলায় ৫ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন লাভলু, যশোর জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি নাজমা খানম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফারুক হোসেন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মিকাইল হোসেন এবং উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান প্রভাষক ফজলুল হক।

কেশবপুর উপজেলায় ৮ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, কেশবপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসিমা আক্তার সাদেক, দপ্তর সম্পাদক মফিজুর রহমান, উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক কাজী মুজাহিদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র প্রার্থী এস এম মাহবুবুর রহমান, আব্দুল্লাহ নূর আল আহসান, ওবায়দুর রহমান, এমদাদুল হক এবং যশোর জেলা জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা আবদুস সামাদ।

সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলায় মনোনয়রপত্র জমা দিয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাঈদ মেহেদী, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক শেখ মেহেদী হাসান সুমন, স্বতন্ত্র প্রার্থী শেখ রাকিবুল জামান ও সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আজিজুর রহমান।

শ্যামনগর উপজেলায় মনোনয়রপত্র জমা দিয়েছেন ৫ জন। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক প্রভাষক সাঈদ-উজ-জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, শ্যামনগর উপজেলার কৈখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক কৃঞ্চপদ মণ্ডল, শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আইনবিষয়ক সম্পাদক মাসুদুল আলম দোহা এবং উপজেলা জামায়াতের আমির মো. আবদুর রহমান।

মেহেরপুর

মেহেরপুর সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এস এম ইবরাহীম শাহীন, সহ-সভাপতি আবদুল মান্নান, সদর উপজেলা যুবলীগের সদস্য নিশান সাবের, উপজেলা কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাশেম আলী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আনারুল ইসলাম।

মুজিবনগর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, মহাজন ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা আমাম হোসেন মিলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাঁন্দু ও ফল ব্যবসায়ী মাহাবুব হোসেন।

মাগুরা

মাগুরা সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। ৭ জনই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা। তারা হলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রানা আমির ওসমান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী শেখ নবীব আলী, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও কুচিয়ামোড়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক জাহিদ রেজা চন্দন, কছুন্দি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সমর্থক মীর আবদুল কুদ্দুস, জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক শেখ মো. রেজাউল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের সমর্থক উত্তম কুমার বিশ্বাস।

শ্রীপুর উপজেলায় ৪ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন এর মধ্যে ৩ জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সমর্থক মিয়া মাহমুদুল গনি শাহিন, শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এমএম মুতাসিম বিল্লা সংগ্রাম, আওয়ামী লীগের সমর্থক শরিয়ত হোসেন মিয়া এবং স্বতন্ত্র খন্দকার আশরার ইলাহী।

চুয়াডাঙ্গা

চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে দুইজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান ও সাংবাদিক এস. কে লিটন।

দামুড়হুদা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন আওয়ামী লীগের তিন নেতা। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলী আজগর টগরের ভাই আলী মুনছুর বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম এবং উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহ্বায়ক আবু তালেব।

কুষ্টিয়া

কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান, সদর উপজেলা জামায়াতের সাধারণ সম্পাদক সুজা উদ্দিন জোয়ার্দার ও স্বতন্ত্র আহাদ আল মামুন।

খোকসা উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৭ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তারা হলেন, বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি বাবুল আখতার, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আল মাসুম মোর্শেদ শান্ত, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রহিম উদ্দিন খান, তার অনুগত উসমানপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওহিদুল ইসলাম, রহিম উদ্দিন খানের ছেলে শাওন মাহমুদ খান, ওহিদুল ইসলামের ভাই সাইফুল ইসলাম, ওহিদুল ইসলামের স্ত্রী সালেহা বেগম।

ঝিনাইদহ

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৭ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেন। এর মধ্যে ৬ জন আওয়ামী লীগ ও একজন জামায়াত নেতা। প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু, বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শিবলী নোমানী, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর হোসেন সোহেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান মতি, কষ্টভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডা. রাশেদ শমসের, জাতীয় শ্রমিক লীগের ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সহ-সভাপতি ইমদাদুল হক সোহাগ, কালিগঞ্জ উপজেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ওলিউর রহমান।

ঝিনাইদহের সদর উপজেলায় ৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গোলাম ছরওয়ার খান সউদ, ভাইস চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা নূর এ আলম বিপ্লব, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মাসুম, সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কে এম রশীদুল আলম এবং উপজেলা জামায়াতের আমির ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান।

নড়াইল

নড়াইল জেলার কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান পদে ৫ জন মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তারা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণপদ ঘোষ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হারুন-অর-রশীদ, সাবেক চেয়ারম্যান ও নড়াগাতি থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শামিমুর রহমান ওসি, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সিকদার নাজমুল হক প্রিন্স এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান কায়েস।

উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথম ধাপে মনোনয়নপত্র দাখিলের পর বাছাই হবে ১৭ এপ্রিল, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে, আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল ও ভোটগ্রহণ হবে ৮ মে।

বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৬, ২০২৪
এমআরএম/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।