ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ মে ২০২৪, ০০ জিলকদ ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রশিক্ষণ শুরু সোমবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৩
৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রশিক্ষণ শুরু সোমবার ফাইল ফটো

ঢাকা: ৩০০ টি আসনের জন্য নিয়োজিত ৩০০ নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির প্রশিক্ষণ শুরু হবে সোমবার (২৭ নভেম্বর)। তিন ধাপে অনুষ্ঠেয় এ কর্মসূচি শেষ হবে বুধবার (২৯ নভেম্বর)।

নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক এসএম আসাদুজ্জামান শনিবার (২৫ নভেম্বর) এ তথ্য জানান। এরই মধ্যে কমিটির সদস্যদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার জন্য চিঠিও পাঠিয়েছেন তিনি।

চিঠিতে বলা হয়েছে, সুষ্ঠু, অবাধ ও আইনানুগভাবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।

কমিটি সদস্যরা যাতে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে জন্য আইন বিধি বিধান বিষয়ে নিবিড় প্রশিক্ষণ প্রয়োজন। দিনব্যাপী এ সংক্রান্ত প্রশিক্ষণের প্রথম পর্যায়ে জাতীয় সংসদের নির্বাচনি এলাকার নম্বর ৫২ থেকে ১৫৬ পর্যন্ত মোট ১০৫ জনের প্রশিক্ষণ ২৭ নভেম্বর, দ্বিতীয় পর্যায়ে নির্বাচনি এলাকার নম্বর ১ থেকে ৫১ ও ২৪৯ থেকে ৩০০ পর্যন্ত মোট ১০৩ জনের প্রশিক্ষণ ২৮ নভেম্বর এবং তৃতীয় পর্যায়ে নির্বাচনি এলাকার নম্বর ১৫৭ থেকে ২৪৮ পর্যন্ত মোট ৯২ জনের প্রশিক্ষণ ২৯ নভেম্বর নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হবে।

প্রতি পর্যায়ের প্রশিক্ষণ সকাল ৯টায় শুরু হবে। এতে সবাইকে যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্যও চিঠিতে বলেছেন ইটিআই মহাপরিচালক।

এর আগে দুপুরে নির্বাচন কমিশনের আইন শাখার যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকার জানান, গত বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট জেলার যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং সিনিয়র সহকারী জজ ও সহাকারী জজদের সমন্বয় কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে। তারা এবার ফুল টাইম ভোটের দায়িত্ব পালন করবেন।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ অনুযায়ী, নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি দায়িত্ব পালনকালে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম সংঘটিত হলে তা অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করার লক্ষে সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসারের নিকট প্রেরণ করবেন এবং সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন অফিসার ওই অনুসন্ধান প্রতিবেদন ইসি সচিবকে পাঠাবেন। কমিশন পরবর্তীতে তা পর্যালোচনা করে সিদ্ধান্ত দেবেন।

নির্বাচন কমিশন নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রার্থীকে অপরাধ তাৎক্ষণিক বন্ধের জন্য নির্দেশনা দেবে। আর সেটা পালন না হলেই জরিমানা দিতে ২০ হাজার টাকা। এছাড়া সংশ্লিষ্ট দলের জরিমানা গুণতে হবে ১ লাখ টাকা। আর কমিশন চাইলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতাও বাতিল করতে পারবে।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ৩০ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কমিশনে আপিল দায়ের ও নিষ্পত্তি ৫ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০২৩
ইইউডি/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।