ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

‘বাবার জন্য যদি ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হই তাতেও দুঃখ নেই’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জুন ৩, ২০২৩
‘বাবার জন্য যদি ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হই তাতেও দুঃখ নেই’

বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনী প্রচারণায় শুধু প্রার্থীরাই নন, তাদের পরিবারের সদস্যরাও মাঠে নেমেছেন।  

এমন সব প্রার্থীর মধ্যে অন্যতম জাকের পার্টি মনোনীত গোলাপ ফুল প্রতীকের মেয়রপ্রার্থী মিজানুর রহমান বাচ্চু।

তার প্রচারণায় মাঠে নেমেছেন ছেলে নওয়াজিস বিন মিজান নাসিফ।

বিষয়টি স্বাভাবিক হলেও নওয়াজিসের বেলায় কথা উঠেছে। কারণ, বাবা জাকের পার্টির মনোনীত প্রার্থী হলেও নওয়াজিস নিজে আওয়ামী লীগ দলের সঙ্গে যুক্ত। জেলা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক তিনি।

যে কারণে স্থানীয়দের ভাষ্য, ছাত্রলীগ করে বিধায় নৌকার প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতের প্রচারণা চালানোর কথা নওয়াজিসের। অথচ তিনি জাকের পার্টির হয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এতে তিনি ছাত্রলীগে তার পদ হারাতে পারেন।

তবে স্থানীয়দের এসব আলোচনাকে তোয়াক্কাই করছেন না নওয়াজিস বিন মিজান নাসিফ। তিনি বলছেন - বাবার জন্য যদি ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার হই তাতেও দুঃখ নেই।

নওয়াজিস তার বাবার পক্ষে শুধু স্ব-শরীরে প্রচারণা চালাচ্ছেন না, ফেসবুকেও সমানতালে নানান পোস্ট দিচ্ছেন গোলাপ ফুলে ভোট দিতে।  

নিজের ফেসবুক ওয়ালে বাবা মিজানুর রহমান ও গোলাপফুল প্রতীকের পক্ষে বিভিন্ন ধরনের ছবি দিয়ে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

এই যেমন গত ২৬ মে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে নওয়াজিস লিখেছেন- ‘নৌকা পেলেই মেয়র সেই চিন্তা বাদ দিয়ে একটা ঘুম দেন এখন, বরিশালেও ইতিহাস হবে ইনশাআল্লাহ।

অথচ গত সিটি নির্বাচনে তিনি নৌকার প্রার্থী সেরনিয়বাত সাদিক আব্দুল্লাহ’র পক্ষে প্রচারণা চালিয়েছেন কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে। যার প্রমাণ তার ফেসবুকে দেওয়া বিভিন্ন ছবিতেই রয়েছে।  

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক নওয়াজিস বিন মিজান নাসিফ বলেন, ‘বরিশাল সিটি নির্বাচনে আমার বাবা মিজানুর রহমান বাচ্চু মেয়রপ্রার্থী হয়েছেন। আর পারিবারিক বন্ধন, সম্পর্ক এবং আত্মিকটানেই বাবার জন্য কাজ করছি। সেই ছোটবেলা থেকে বাবাকে দেখে এসেছি বিপদে-আপদে সাধারণ মানুষের পাশে থাকতে। তিনি আমার চোখে যোগ্য প্রার্থী। কারণ তিনি একজন সৎ, নির্ভীক, নির্লোভ এবং ভালো মানুষ। ’

তিনি বলেন, ‘আমি বাবার সঙ্গে থেকে নগরে যেমন গণসংযোগ করছি, তেমনি ফেসবুকেও বাবার পক্ষে ভোট চাইছি। আর এটা তো ছাত্রলীগের সবাই দেখছে। আমার ফেসবুক আইডিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগসহ স্থানীয় নেতারাও সংযুক্ত রয়েছেন। তারা তো পোস্টগুলো দেখছেন। ’ 

নিজ দলের প্রার্থীর বাইরে প্রচারণা চালানো সংগঠন বিরোধী কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যদি বাবার জন্য নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে গিয়ে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় তাতেও দুঃখ নেই। ’

এদিকে ছাত্রলীগের কেউ যদি দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে নৌকার প্রার্থীর বাইরে গিয়ে অবস্থান নেয় এবং অন্য প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণা চালায় তাহলে প্রমাণ সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেমায়েত উদ্দিন সুমন সেরনিয়াবাত।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৪ ঘণ্টা, জুন ০৩, ২০২৩
এমএস/এসএএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।