ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

সিসিক নির্বাচন: নতুন ভোটার নিয়েই প্রার্থীদের যত চিন্তা!

নাসির উদ্দিন, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৫১ ঘণ্টা, মে ৪, ২০২৩
সিসিক নির্বাচন: নতুন ভোটার নিয়েই প্রার্থীদের যত চিন্তা!

সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনের আর মাত্র ৪৮দিন বাকি। আগামী ২১ জুন অনুষ্ঠিত হবে ভোট যুদ্ধ।

ব্যালট বিহীন ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটের মাধ্যমে নগর পিতা নির্বাচন করবেন নগরবাসী।

নগরের ২৭টি ওয়ার্ডে নতুন ভোটারসহ প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন সিসিকের বর্ধিত নতুন ১৫টি ওয়ার্ডের লোকজন। সেসব নতুন ভোটাররা কাঙ্ক্ষিত জনপ্রতিনিধি নগরপিতা ও কাউন্সিলর নির্বাচনে মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন। তাই ভোটের হাটে নতুন ভোটারদের নিয়ে যত চিন্তা প্রার্থীদের।

সিসিকের রিটানিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসার ফয়সল কাদের বলেন, হালনাগাদ ভোটার তালিকায় অনুসারে, নতুন ওয়ার্ডসহ নগর এলাকায় ভোটার বেড়েছে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৭৩ জন।  

এবার ৪২টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ৪ লাখ ৮৬ হাজার ৬০৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৫৩ হাজার ৭৬৩ জন ও নারী ২ লাখ ৩২ হাজার ৮৪২ এবং হিজড়া ৬ জন।

সিসিকের ২৭ ওয়ার্ডে ভোটার বেড়েছে ৪০ হাজার ৩৪৪ জন এবং নতুন ১৫টি ওয়ার্ডে ভোটার রয়েছেন ১ লাখ ২৪ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬৩ হাজার ২৪২ জন ও নারী ৬১ হাজার ২৮৭ জন।  

প্রথমবার নগর এলাকায় ভোট দেবেন এসব ভোটাররা। নতুন ওয়ার্ডগুলোতে যেমন উৎসাহ বিরাজ করছে, বিপরীতে নতুন ভোটার নিয়ে প্রার্থীদের কপালে চিন্তার ভাঁজ।

২০১৮ সালে সিটি নির্বাচনে সিলেট নগরের ২৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১ লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ এবং নারী ১ লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন। কেন্দ্র ছিল ১৩৪টি, ভোট কক্ষ ছিল ৯২৬টি এবং অস্থায়ী কক্ষ ছিল ৩৪টি। এবার ৪২টি ওয়ার্ডে কেন্দ্র বেড়ে হয়েছে ১৮৫টি এবং ভোট কক্ষ ১ হাজার ৩৯০টি।  

নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ভোটার তালিকার হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী- ১ নম্বর ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৯ হাজার ৯৭৬ জন, ২ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ হাজার ৩৬১ জন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ হাজার ৪৫৮ জন, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৯ হাজার ৯৪০ জন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১৭ হাজার ৩৯৪ জন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩ হাজার ৮৫৯ জন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ২০ হাজার ৯৩৯ জন, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ২১ হাজার ৭ জন, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১৮ হাজার ৪১৬ জন, ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ১৮ হাজার ৫৫১ জন, ১১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪ হাজার ৭৫৭ জন, ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ হাজার ৯৯০ জন, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ হাজার ২৯১ জন। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৯ হাজার ৮৭৯ জন।

১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১১ হাজার ৫৬১ জন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ হাজার ৩৩৭ জন, ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ হাজার ১৬৫ জন, ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ হাজার ৯০৪ জন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩ হাজার ৫৪৯ জন, ২০ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ হাজার ১৫১ জন, ২১ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩ হাজার ৫৯০ জন, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ হাজার ১৫ জন, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ হাজার ৭৫৩ জন, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩ হাজার ৯০৭ জন, ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে ১৪ হাজার ৩৪৫ জন, ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১৫ হাজার ৫৪৮ জন, ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩ হাজার ১০১ জন, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ হাজার ৯১০ জন, ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ হাজার ৪৩৭ জন, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ হাজার ৮৬৮ জন।

৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ হাজার ৪৪২ জন, ৩২ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩ হাজার ৮৮৫ জন, ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে ১২ হাজার ৬ জন, ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডে ৬ হাজার ৭২৪ জন, ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ হাজার ৬০১ জন, ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ১১ হাজার ৪৮৭ জন, ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডে ৭ হাজার ২৫৭ জন, ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ১০ হাজার ৩৩৬ জন, ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডে ১৩ হাজার ১৬২ জন, ৪০ নম্বর ওয়ার্ডে ৫ হাজার ০২ জন, ৪১ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ হাজার ৪২৮ জন এবং ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে ৪ হাজার ৯৯৪ জন ভোটার রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০০৫০ ঘণ্টা, মে ০৪, ২০২৩
এনইউ/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।