ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

সমাবর্তন বক্তব্যে উপাচার্য 

চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী শিক্ষক-শিক্ষার্থী-গবেষক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ঢাবি

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
চতুর্থ শিল্পবিপ্লব উপযোগী শিক্ষক-শিক্ষার্থী-গবেষক তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে ঢাবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের মতো প্রযুক্তিমুখ্য বিশ্বব্যবস্থার উপযোগী করে এর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তনে তিনি এ কথা জানান।

 

অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নবজ্ঞান নির্মাণের ব্রতকে সামনে রেখে একদিকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ (এসডিজি) বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে, অপরদিকে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের মতো প্রযুক্তিমুখ্য বিশ্বব্যবস্থার উপযোগী করে এর শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকদের প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিয়েছে। বহুমুখী বাস্তবতাকে সামনে রেখে এই বিদ্যাপীঠ আগামী একশ বছরে কোন পথে এগিয়ে যাবে, তা নির্ধারণে প্রয়াস চলছে।

ঢাবি উপাচার্য বলেন, গবেষণা ও উদ্ভাবন এবং শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিভিন্ন একাডেমিক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মাস্টার প্ল্যান’ প্রণয়ন করা হয়েছে। একাডেমিক যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে ইতোমধ্যে ‘একাডেমিক উন্নয়ন পরিকল্পনা’ নেওয়া হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের খ্যাতিমান শিক্ষক ও গবেষকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি এ নিরিখে কাজ করছে।  

তিনি বলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের পূর্বাচল প্রকল্পে নলেজ-হাব গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণা-উদ্ভাবন ক্যাম্পাস’ তৈরির উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। আমরা চাই, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ও গ্রাজুয়েটবৃন্দ যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেদের আত্মপ্রত্যয়ী রূপে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে সক্ষম হোক।

সমাবর্তন বক্তা প্রফেসর ড. জঁ তিরল বলেন, পেশাজীবনে সফলতা অর্জনের জন্য গ্র্যাজুয়েটদের আত্মবিশ্বাস, দায়িত্ববোধ ও সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা থাকতে হবে। এক্ষেত্রে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, পরিকল্পিত উপায়ে কঠোর পরিশ্রম করলে কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব।  

আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্য ও অগ্রগতি অর্জনের জন্য তিনি বাংলাদেশের ভূয়সী প্রশংসা করেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ। সাইটেশন পাঠ করেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল। এ সময় কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, সিনেট-সিন্ডিকেট সদস্য, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যসহ আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন। রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

এই সমাবর্তনে ৩০ হাজার ৩ ৪৮জন গ্র্যাজুয়েট ও গবেষক অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট ও উপাদানকল্প কলেজ/ইনস্টিটিউটের গ্র্যাজুয়েটরা সমাবর্তনের মূল ভেন্যু বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ এবং অধিভুক্ত সরকারি সাত কলেজের গ্র্যাজুয়েটরা ঢাকা কলেজ ও ইডেন কলেজ ভেন্যু থেকে সমাবর্তনে অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০২২
এসকেবি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।