ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

রাবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের সভাপতির কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ

রাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ১, ২০২২
রাবিতে শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভাগের সভাপতির কক্ষ ভাঙচুরের অভিযোগ

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ড. মো. হাকিমুল হকের বিরুদ্ধে তার বিভাগের সভাপতির কক্ষে ভাঙচুর এবং অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগ ওঠেছে।  

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদ ভবনে এ ঘটনা ঘটে।

 

গবেষণা প্রকল্পে বরাদ্দ পাওয়ার আবেদনপত্রে সুপারিশ না করায় সহকারী প্রক্টর ড. মো. হাকিমুল হক এমন আচরণ করেছেন বলে জানিয়েছেন বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ইসমত আরা বেগম। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।

অভিযোগপত্রে অধ্যাপক ইসমত আরা বেগম বলেন, ড. মো. হাকিমুল হক বেশ কিছুদিন ধরে বিভাগের বিভিন্ন শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সঙ্গে কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ অক্টোবর আমার সঙ্গেও কুরুচিপূর্ণ ব্যবহার করেন এবং ‘শুয়োরের বাচ্চা’ ও ‘পাগল’ বলে গালি দেন। মঙ্গলবার দুপুরে তিনি সভাপতির কক্ষে তার একটি চিঠি স্বাক্ষর করার জন্য নিয়ে আসেন। আমি তাকে আগের ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে বলি। তা নাহলে আমি চিঠিতে স্বাক্ষর করব না বলে জানাই। তিনি দুঃখ প্রকাশ না করে আমাকে স্বাক্ষর দেওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং টেবিল চাপড়িয়ে টেবিলের গ্লাস ভেঙে চুরমার করেন।

জানতে চাইলে ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্সেস বিভাগের সভাপতি ইসমত আরা বেগম বলেন, ড. হাকিমুল হক অস্ট্রেলিয়া থেকে পিএইচডি করার পর সেখানেই অভিবাসী হতে চাচ্ছিলেন। সেখানে যাওয়া-আসা করতে তার নির্ধারিত ছুটি শেষ হয়ে যায়। তখন তিনি আমার অফিসে ওয়ার্ড ফাইলে একটি ছুটির আবেদনপত্র পাঠান। কিন্তু সেখানে তার স্বাক্ষর না থাকায় আমি ছুটি মঞ্জুর করিনি। তখন তিনি আমাকে অশ্রাব্য ও কুরুচিপূর্ণ ভাষায় গালিগালাজ করেন। আজ সে একটি গবেষণা প্রজেক্টে বরাদ্দ পাওয়ার জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন নিয়ে আসেন এবং আমাকে সুপারিশ করতে বলেন।  

তবে ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে ড. হাকিমুল হক বলেন, আমার একটি গবেষণা প্রকল্প জমা দেওয়ার শেষ সময় বুধবার (২ নভেম্বর)। আমি গতকাল (৩১ অক্টোবর) সারারাত জেগে প্রজেক্টটি প্রস্তুত করি। কিন্তু সকালে বিভাগের সভাপতির কাছে সুপারিশ নিতে গেলে তিনি আগের কোনো ঘটনার জের ধরে আমার প্রজেক্টটি সুপারিশের জন্য স্বাক্ষর করেননি। এতে স্বাভাবিকভাবেই আমি রেগে যাই। তবে সেখানে ভাঙচুরের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সেলফোনে কল করলে তিনি মিটিংয়ে আছেন জানিয়ে কলটি কেটে দেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০২২
এসএ
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad