ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

প্রক্টর ব্যস্ত ‘অন্য কাজে’, ফোনও ধরেন না

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৫২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
প্রক্টর ব্যস্ত ‘অন্য কাজে’, ফোনও ধরেন না

শাবিপ্রবি, (সিলেট): শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন জরুরি প্রয়োজনে প্রক্টরকে পাশে না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইলের বিরুদ্ধে।

এতে বিভিন্ন সময় শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে প্রক্টরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে অফিসে গেলে অথবা ফোন করলে পাওয়া যায় না বলে দাবি করেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।



বুধবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।  

এর আগে, প্রক্টরকে অফিসে বা ফোনে না পাওয়ার প্রসঙ্গে ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালকের কাছে অভিযোগ দেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পত্রে বলা হয়, সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ইস্যুতে গত চারমাস ধরে প্রক্টরকে অসংখ্যবার ফোন কল দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাকে পাওয়া গেছে মাত্র ৮-৯ বার। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তিনি ফোনকল রিসিভ করেন না। পরে তিনি কলব্যাক করার প্রয়োজনও বোধ করেন না। এতে কয়েকবার সহকারী প্রক্টরদের সঙ্গে যোগাযোগ করে মিটিংয়ের সময় নেওয়া হলেও তিনি বারবার মিটিং পিছিয়ে দিয়েছেন অথবা উধাও হয়ে গেছেন। আমাদের অন্যান্য কাজ রেখে প্রক্টরের দেওয়া সময় অনুযায়ী তার সঙ্গে অফিসে দেখা করতে গেলে প্রতিবারই তাকে পাওয়া যায়নি।

শিক্ষার্থীরা বলেন, প্রক্টরের দায়িত্ব ছাড়াও বর্তমানে তিনি একাধিক প্রশাসনিক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। আমরা মনে করি, দায়িত্বের ভারে তিনি ভারাক্রান্ত। মূলত একজন প্রক্টর বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলাজনিত কাজে ব্যস্ত থাকবেন, কিন্তু তিনি প্রক্টরের কাজ ব্যতীত অন্যান্য কাজে বেশি ব্যস্ত থাকেন।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, প্রক্টর নিজ দায়িত্ব ছাড়া অন্য কোনো মিটিং বা কাজে ব্যস্ত থাকা উচিত নয়, যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম, শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়। বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাজের জন্য তাকে যথাসময়ে পাওয়া যায় না, এর ফলে শিক্ষার্থীরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। এমনকি আমাদের বহু দাবি-দাওয়াও নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে।

এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের দাবি প্রক্টরের ওপর প্রক্টরের দায়িত্ব ব্যতীত অন্যান্য কাজগুলোর বোঝা কমিয়ে তাকে প্রক্টর হিসেবে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন, সে ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি শিক্ষার্থীরা জরুরি প্রয়োজনে তার সঙ্গে যোগাযোগ করতে গেলে তিনি ফোন কল ধরেন না এবং অফিসে পাওয়া যায় না সে ব্যাপারে প্রক্টরকে জবাবদিহি করতে হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইল প্রক্টরের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি  ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এস্যুরেন্স সেলের (আইকিউএসি) অতিরিক্ত পরিচালক, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব, ইংরেজি বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টার পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তাছাড়া পদাধিকার বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ (শাকসু) এর কোষাধ্যক্ষ, শৃঙ্খলা ও প্রক্টরীয় কমিটির সদস্য সচিব, অভ্যন্তরীণ দোকানপাট ও টমটম (অটো) পরিচালনাসহ প্রক্টর হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা বিষয়ে দায়িত্বও পালন করেন তিনি।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগের বিষয়ে প্রক্টর ইশরাত ইবনে ইসমাইলের কাছে জানতে চাইলে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত আমার কাছে কোনো অভিযোগ আসেনি। এই বিষয়ে কোনো মন্তব্য করব না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২২
এএটি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad