ঢাকা, শনিবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

রাষ্ট্রপতির ছেলের ড্রাইভারকে মারধর, জবি ছাত্রলীগ কর্মীর নামে মামলা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৮ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
রাষ্ট্রপতির ছেলের ড্রাইভারকে মারধর, জবি ছাত্রলীগ কর্মীর নামে মামলা অভিযুক্ত কৌশিক

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি): তুচ্ছ ঘটনার জেরে রাষ্ট্রপতির ছেলের গাড়ির ড্রাইভারকে আটকে রেখে মারধর করেছেন কৌশিক সরকার সাম্য নামের জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ছাত্রলীগের এক কর্মী।  

পরে ভুক্তভোগী ড্রাইভার নজরুল ইসলাম ওয়ারী থানায় ওই ছাত্রলীগ কর্মীর নামে মামলা দায়ের করেন।

অভিযুক্ত কৌশিক জবির সঙ্গীত বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেনের কর্মী বলে জানা গেছে।

এদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের কেউ নয় বলে জানান জবি ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন।

সোমবার (২৭ জুন) ওয়ারী থানায় বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন নজরুল ইসলাম নামে ভুক্তভোগী ড্রাইভার।

তিনি রাষ্ট্রপতির ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের গাড়ির ড্রাইভার বলে জানিয়েছে ওয়ারী থানা পুলিশ।

ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন হাওলাদার মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, আজ ওয়ারীর জবির শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের কাছে গাড়িতে ড্রাইভার থাকার সময় আসামি সাইড দিতে বলেন। পরে তুচ্ছ ঘটনায় ড্রাইভারকে মারধর করা হয়। তারপর তাকে নজরুল ইসলাম হলে ধরে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয়। এছাড়া প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়। এই অভিযোগ করে ড্রাইভার নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। একজনের নামোল্লেখসহ আরও কয়েকজনকে অজ্ঞাতপরিচয় করে আসামি করা হয়েছে। তবে এ মামলায় এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি। মামলা নম্বর ২৫, ২৭/৪/২২ বলে থানা থেকে জানা যায়।

এছাড়া এ ঘটনার বিষয়ে ওয়ারী থানার ফাঁড়ির পুলিশের উপ-পরিদর্শক জহির হোসেন বলেন, তুচ্ছ ঘটনায় ড্রাইভারকে মারধর করা হয়েছে। বাদী খুব ভয় পেয়ে যান। এমনভাবে মারতে থাকেন যেন আর বাঁচবেন না বলে আমাদের কাছে ভীতি প্রকাশ করেন। ড্রাইভার রাষ্ট্রপতির ছেলে রিয়াদ আহমেদ তুষারের গাড়ির ড্রাইভার বলে আমাদেরকে জানান।

জবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন বলেন, কৌশিক সরকার সাম্য নামের ওই ছেলে ছাত্রলীগের কোনো কর্মী না। তিনি গত কয়েকটি কোনো প্রোগ্রামে আসেননি। পদ্মা সেতুর উদ্বোধন প্রোগ্রাম, ধানমন্ডি-৩২ নম্বরে ফুল দেওয়ার প্রোগ্রামসহ কোনো প্রোগ্রামে ছিলেন না তিনি। তবে কোনো শিক্ষার্থী যদি আমার সঙ্গে ছবি তুলতে আসেন মানা করা যায় না। তিনি যদি আসামি হয় তাহলে ছাত্রলীগ এর দায়ভার নেবে না।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, এ ঘটনার বিষয়ে ওয়ারী থানা থেকে শুনেছি। গাড়ির ড্রাইভার রাষ্ট্রপতি স্যারের ছেলের ড্রাইভার বলে থানা জানিয়েছেন।

এর আগে, ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় আসামি কৌশিক সরকার সাম্যকে সাময়িক বহিষ্কার করে জবি প্রশাসন।

বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।