ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

শিক্ষার্থীর বুকে শিক্ষকের লাথি!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৬ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০২২
শিক্ষার্থীর বুকে শিক্ষকের লাথি!

যশোর: যশোরে শ্রেণিকক্ষে শুভ ইসলাম নামে নবমশ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারধর ও বুকে লাথি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। মারধরে সারা শরীরে গুরুতর জখম পেয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।

 
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) শহরের মিউনিসিপ্যাল প্রিপারেটরি উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।  

শুভ শহরের শংকরপুর এলাকার পলাশ হোসেনের ছেলে ও বিদ্যালয়টির মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী।  

এদিকে, শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীকে বেধড়ক মারপিটের সঙ্গে বুকে লাথি দেওয়ার ঘটনায় অভিভাবক মহলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তারা ঘটনার সুষ্ঠু বিচার ও তদন্ত দাবি করেছেন।

যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শুভ ইসলাম জানান, তাদের বিদ্যালয়ে এখন অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা চলছে। বৃহস্পতিবার ছিল তাদের শেষ পরীক্ষা। এদিন পরীক্ষা শেষ হওয়ায় ক্লাস রুমে কয়েকজন বন্ধু ও বান্ধবী মিলে ছবি তুলছিলাম। এই ছবি তোলা দেখতে পেয়ে বিদ্যালয়টির সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম এসে আমাকে বেধড়ক বেত্রাঘাত শুরু করেন। একপর্যায়ে আমাকে জোরে বুকে লাথি মারলে আমি দূরে ছিটকে পড়ে যাই। তিনি আরও বলেন, আমাদের কোনো দোষ নেই। বিনা কারণে এসে শুধু আমাকে পেটালেন।  

এই বিষয়ে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম বলেন, এর আগেও শুভ বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত ছিল। বারবার তাকে সর্তক করা হলেও সে নিজেকে শুধরায়নি। বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষ হলে ছেলেটি একটি শ্রেণিকক্ষে তার কয়েকজন বন্ধু নিয়ে একটি মেয়ের সঙ্গে সেলফি তুলছিল। তাদের সেলফি ও ছবি তোলা দৃষ্টিকটু হওয়ায় রাগে ছেলেটিকে মারধর করেছি। তবে রাগের মাথায় লাথি মারা ঠিক হয়নি।  

এই বিষয়ে শিক্ষার্থীর মা শাহানা খাতুন বলেন, আমার শুভ ভালো ছেলে। বিদ্যালয়ে ছেলে-মেয়েরা আসে শেখার জন্য। সেখানে তারা কোন দোষ করলে, শাসন করার অধিকার শিক্ষকদের আছে। তবে বেধড়ক মারপিট ও বুকে লাথি মারা কোনো শিক্ষকের কাজ না। আমার ছেলেটারে বুকে লাথি মেরেছে, ওই লাথিতে যদি ওর বড় কোনো বিপদ হতো এর দায় কি উনি নিতেন? 

তিনি বলেন, আমার ছেলেকে এমনভাবে পিটিয়েছে সারা শরীরে জখমের দাগ ও সাদা স্কুল পোশাকে রক্তে লাল হয়ে গেছে।  

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর খান বলেন, শিক্ষার্থীর দোষ থাকলেও এভাবে মারা ঠিক হয়নি। সহকারী শিক্ষক রাগের মাথায় কাজটি করেছে। ঘটনাটি ঘটার পরে আমি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও স্বজনদের ডাকি। দুপক্ষের বক্তব্য শুনেছি। ম্যানেজিং কমিটির সিন্ধান্তে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিষয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৫৩ জুন ১৭, ২০২২
ইউজি/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।