ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

পুলিশ সদস্যের নামে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ ইবি ছাত্রীর

ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৫, ২০২১
পুলিশ সদস্যের নামে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ  ইবি ছাত্রীর

ইবি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বঙ্গবন্ধু হলে অস্থায়ী ক্যাম্পের এক পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে ইভটিজিংয়ের অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। রোববার (৫ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন।

তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী।

এদিকে ছাত্রীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করেছে ইবি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসা হয়।

এ সময় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ওই ছাত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জের সঙ্গে বসার কথা জানিয়েছেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ছাত্রী ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী শেখপাড়া এলাকায় একটি মেসে থাকেন। ফলে বঙ্গবন্ধু হল পকেট গেট দিয়ে তাকে যাতায়াত করতে হয়। পকেটগেটের পাশে একটি পুলিশ ক্যাম্প আছে। প্রতিদিনের মত  রোববারও ওই পকেট গেট দিয়ে ক্যাম্পাসে আসছিলেন ওই ছাত্রী। এ সময় ক্যাম্পের সামনে নিরাপত্তা পোশাকধারী এক নিরাপত্তা সদস্য তার দিকে তাকিয়ে অশ্লীল ও কুঁরুচিপূর্ণ কথা বলতে থাকেন।

একপর্যায়ে ছাত্রীটি চিৎকার শুরু করলে পোশাকধারী ওই নিরাপত্তা সদস্য ক্যাম্পের ভিতরে চলে যায়। এর আগেও তিনি ওই এলাকায় পুলিশ সদস্যদের ইভটিজিংয়ের  শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ ছাত্রীর।

পরে দুপুর একটার দিকে ভিকটিম, অভিযুক্ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা প্রধান কর্মকর্তা রোজদার আলী রূপম ও পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ হেলাল উদ্দীনকে নিয়ে বসেন প্রক্টরিয়াল বডি।


পুলিশ ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ হেলাল উদ্দীন বলেন, আমাদের পুলিশ সদস্য ও ওই ছাত্রীর মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। ঘটনার পর প্রক্টর স্যার আমাকে ও সেই পুলিশ সদসকে ডেকেছিলেন। আমরা প্রক্টর অফিসে গিয়েছিলাম। সেখান অভিযোগকারী ছাত্রীও ছিলেন। আসলে সেই পুলিশ সদস্য ফোনে তার বউয়ের সঙ্গে সাংসারিক ঝামেলা নিয়ে কথা বলছিলেন। ওই ছাত্রী হয়তো ভেবেছিল তার দিকে ইঙ্গিত করে কথা বলেছেন, তাই সে খারাপভাবে নিয়েছে। আমাদের দায়িত্বই হলো নিরাপত্তা দেওয়া, আমরা কেন ইভটিজিং করবো?

প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, আমরা অভিযুুক্তকে শনাক্ত করেছি। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ভুক্তভোগীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে বঙ্গবন্ধু হল পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জকে নিয়ে সোমবার আবার বসবো।

বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৫, ২০২১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad
welcome-ad