ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের পিএইচডি লাভ

শিক্ষা ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১৬ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদের পিএইচডি লাভ

ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের অন্তর্গত ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধীনে মোহাম্মাদ আবুল কালাম আজাদ ‘ইসলামে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন: প্রেক্ষাপট বাংলাদেশ’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন।

সিন্ডিকেট সভার আদেশক্রমে গত ২৮ অক্টোবর তিনি এই ডিগ্রি লাভ করেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজে বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ ছিলেন তার পিএইচডির তত্ত্বাবধায়ক। বর্তমানে ড. এ কে আজাদ মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক, সহকারী ছাত্র উপদেষ্টা ও সেন্টার অব জেনারেল এডুকেশনের কোর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত আছেন।

এর আগে তিনি ইউএসএইডে ‘প্রি-প্রাইমারি অ্যান্ড প্রাইমারি মাদ্রাসা এডুকেশন ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক গবেষণায় গবেষণা সহকারী হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

ড. আজাদ ২০০৬ সালে জাতিসংঘের ইউনিভার্সিটি ফর পিস থেকে পিস এডুকেশনে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনিই প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ইউনিভার্সিটি ফর পিস-এ অধ্যায়ন করার সুযোগ পান। ইউনিভার্সিটি ফর পিস-এ পিস এডুকেশনে তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘পিস অ্যান্ড স্টাবিলিটি ইন বাংলাদেশ থ্ররু চ্যারিট, সাস্টেইন্যাবেল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড পিস এডুকেশন’। এই গবেষণায় তার তত্ত্বাবধায়ক হিসেবে ছিলেন প্রয়াত প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের জামাতা, ইউনিভার্সিটি ফর পিস-এর অধ্যাপক ড. আমর আবদাল্লাহ।

২০০৬ সালে ড. এ কে আজাদ ক্যানাডার টরেন্টতে পিস এডুকেশনের কারিকুলাম ডেভেলপমেন্টে এক কর্মশালায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন। ২০০৭ সালে ইন্দোনেশিয়ার জুকজাকার্তায় পিস এডুকেশন এর কারিকুলাম ডেভেলপমেন্ট আর একটি কর্মশালায় তিনি বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। ২০০৯ সালে তিনি জর্ডানের প্রিন্স ফয়সাল আল-হুসাইনের সংগঠন জেনারেশন ফর পিস এর আহবানে দশ দিন ব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নেন।

২০১৪ সালে তিনি সাউথ এশিয়া পিসবিল্ডিং প্রগ্রাম শীর্ষক ১২ দিন ব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কর্মশালয় অংশগ্রহণ করেন। ২০১৭ সালে তিনি ভারতের নয়াদিল্লিতে ইউথ কনফারেন্সে অংশগ্রহণ করে তিনি ইন্টারন্যাশলান স্পিকার এওয়ার্ড পান। এছাড়া ড. এ কে আজাদ এশিয়া, ইউরোপ ও আমেরিকার বিভিন্ন দেশে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ও প্রশিক্ষণশালায় অংশ নেন।

২০০১ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ থেকে অনার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে নবম এবং ২০০২ সালে একই বিভাগ থেকে মাস্টার্স পরীক্ষায় প্রথম শ্রেণিতে সপ্তম স্থান অধিকার করেন।

তিনি ১৯৯৪ সালে তামীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসা থেকে সাধারণ বিভাগ নিয়ে দাখিল পরীক্ষায় ৭৩৯ নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগ এবং ১৯৯৬ সালে একই মাদ্রাসা থেকে আলিম পরীক্ষায় ৭৪১ নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে উত্তীর্ণ হন। তিনি ১৯৯১ সালে জুনিয়র মাধ্যমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ৮ম শ্রেণিতে এবং ১৯৮৮ সালে প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ৫ম শ্রেণিতে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড থেকে বৃত্তি লাভ করেন। তিনি ১৯৯৩ সালে জাতীয় পর্যায় পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগীতায় খ-গুরুপে ৩য় স্থান অধিকার করেছিলেন।

এছাড়াও ছাত্রজীবনে তিনি বিভিন্ন রচনা প্রতিযোগিতা, বক্তৃতা, আবৃতি, বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অসংখ্য পুরস্কার লাভ করেন। শিক্ষাজীবনে ড. এ কে আজাদ বহু সামজিক, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংঘঠনের সভাপতিসহ বিভিন্ন দায়িত্বশীল পদে সমাসীন ছিলেন এবং বর্তমানেও তিনি বহু সামাজিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংঘঠনের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন।

তিনি পিরোজপুর জেলার মঠবাড়ীয়া থানার ফুলঝুড়ী গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মোহাম্মাদ সোহরাব হোসাইন আকন ও দেলোয়ারা বেগম খানের কনিষ্ঠ সন্তান। ড. আজাদের সহধর্মিনী ডা. ফারজানা ববি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ শিক্ষায় অধ্যায়নরত আছেন। ভবিষ্যতে ড. এ কে আজাদ বাংলাদেশের উন্নয়ন নিয়ে কাজ করতে চান।

বাংলাদেশ সময়: ০১১৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
এমআইএইচ/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।