ঢাকা, শুক্রবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

ফ্যান্টাসি কিংডমে বিনোদনের সুযোগ পেল সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
ফ্যান্টাসি কিংডমে বিনোদনের সুযোগ পেল সুবিধাবঞ্চিত শিশুরা

ঢাকা: ভোরের সদ্য ফোটা পবিত্র কিছু ফুল অনাদরে পড়ে থাকে পথের ধারে। বিবেকবর্জিত সমাজে তাদের কেউ বলে পথকলি, কেউ বলে টোকাই, কেউ বলে পথশিশু।

সুবিধাবঞ্চিত পথ শিশুদের নির্মল আনন্দ ও চিত্ত বিনোদনের জন্য দেশসেরা বিনোদন পার্ক ‌‘ফ্যান্টাসি কিংডম কমপ্লেক্স’। ১৩ নভেম্বর ও ২০ নভেম্বর ফ্রি টিকিটে ৩শ পথশিশুর পার্কে প্রবেশ, বিভিন্ন রাইডে চড়ার সুযোগ, ঢাকা থেকে ফ্যান্টাসি কিংডমে বিনামূল্যে যাতায়াত ব্যবস্থা প্রদান, সকাল এবং দুপুরের খাবারের আয়োজনসহ সারাদিন বিনোদনের ব্যবস্থা করেছে।

অদম্য বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের এক মহতী উদ্যোগ ‘মজার ইশকুল’। এই মজার স্কুলে সমাজের এই সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের মুখে এক চিলতে হাসি ফোটাতে, স্বপ্নের মত এক কল্পনার রাজ্যে যেন নিজের মত করে আনন্দে আত্মহারা হয়, যা তাদের বাড়ন্ত জীবনে অসম্ভব, পথশিশুদের এমনই এক সুযোগ করে দেয় ‘কনকর্ড গ্রুপ’।

অদম্য ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের সঙ্গে দেশের সুবিখ্যাত এমিউজমেন্ট পার্ক ‌‘ফ্যান্টাসি কিংডম’ একাত্মতা ঘোষণা করে পথশিশুদের কল্পনার রাজ্যে ডানা মেলে উড়ে বেড়ানোর আর ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ তৈরি করে দেয়।
 
১৩ নভেম্বরে মজার ইস্কুল-ফ্যান্টাসি কিংডম ট্যুরে অংশ নিয়েছিল ১৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু। এর পরের সপ্তাহে, ২০ নভেম্বরে উরোল্লেখিত ট্যুরে আরও ১৫০ জন সুবিধাবঞ্চিত পথশিশু অংশ নিয়ে আনন্দে উদ্ভাসিত হয়।  

এই ট্যুরের পুরোদিনটিতেই তাদের মধ্যে ছিল এক ধরনের কল্পনাতীত খুশির আমেজ। জীবনের সব কষ্ট, অভাব, দুঃখ, অবসাদ ভুলে তারা যেন খুঁজে পেয়েছিল নতুন জীবনের এক অবারিত আনন্দের স্বাদ।  

এ প্রসঙ্গে কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্টের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর অনুপ কুমার সরকার বলেন, সমাজের প্রতিটি স্তরেই প্রতিটি মানুষের কিছু সামাজিক দায়বদ্ধতা থাকা উচিত। কনকর্ড এন্টারটেইনমেন্ট লিমিটেডের ব্যতিক্রম নয়। কোমলমতি শিশুদের বিনোদনের বিশেষ আকর্ষণ এই এমিউজমেন্ট পার্ক। সেক্ষেত্রে অর্থাভাবে এই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের এসব পার্কে এসে ঘুরে ফিরে বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দ করার কোনো সুযোগই থাকে না। তাই মজার ইশকুলের পথশিশুদের আনন্দ দানের এই মহতী উদ্যোগকে আমরা ফ্যান্টাসি কিংডম সাধুবাদ জানিয়ে তার সঙ্গে যুক্ত হতে পেরে আনন্দিত ও গর্বিত। আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যত। আমাদের সবার উচিত শিশুদের জন্য নির্মল আনন্দ আর চিত্ত বিনোদনের জন্য যথাসম্ভব ব্যবস্থা করা। কারণ মানসিক বিকাশে বিনোদন অপরিহার্য  আমার আপনার সন্তানের মত এসব সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদেরও রয়েছে ভালোভাবে সমাজের সব সুবিধা নিয়ে বেঁচে থাকার সমান অধিকার।

করোনার এই সময়ে সব শিশুরা ছিল ঘরবন্দী। ফ্যান্টাসি কিংডমসহ দেশের সব বিনোদন পার্কগুলো বন্ধ ছিল সরকাির নির্দেশনায়। করোনার প্রকোপ কমাতে পার্কগুলো খুলে দেওয়ার পর মজার ইস্কুল ও ফ্যান্টাসি কিংডমের সুবিধাবঞ্চিত পথশিশুদের দুই দিনব্যাপী বিশেষ বিনোদনের ব্যবস্থা করা এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। যা পথশিশুদের জন্য কিছু করার ক্ষেত্রে অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করবে। এভাবে সব পথশিশুদের মধ্যে মুখে হাসি ফুটে উঠুক অবিরত।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৩, ২০২১
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।