ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

রাবিতে গণনিয়োগ বাতিলের সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে

রাবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১২ ঘণ্টা, মে ২৩, ২০২১
রাবিতে গণনিয়োগ বাতিলের সুপারিশ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) সদ্যবিদায়ী উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহানের শেষ কার্যদিবসে অস্থায়ী ভিত্তিতে (এডহক) ১৪১ জনকে বিভিন্ন পদে দেওয়া নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করেছে গঠিত তদন্ত কমিটি।  

রোববার (২৩ মে) এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) ও তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক আবু তাহের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।  

অধ্যাপক আবু তাহের বাংলানিউজকে বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আমরা তদন্ত শেষ করেছি। তদন্ত প্রতিবেদনে নিয়োগ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।  
 
গত ৬ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের গণনিয়োগ নিয়ে সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয়। একই দিন সন্ধ্যায় উপাচার্যের নিয়োগ দুর্নীতির বিরুদ্ধে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।  

জানা যায়, গত ৬ মে ড. এম আব্দুস সোবহানের মেয়াদপূর্ণ হয়। শেষ কর্মদিবসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী পদে ১৪১ জনকে নিয়োগ দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন উপাচার্য। এমন গণনিয়োগের বিষয় প্রকাশ হলে ক্যাম্পাসে তোলপাড় শুরু হয়। মহানগর ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ক্যাম্পাসে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এই নিয়োগকে অবৈধ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীরকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটিকে এ নিয়োগের সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে সুপারিশমূলক প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।

তদন্ত কমিটির দুই সদস্য সূত্রে জানা যায়, উপাচার্য ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই গণনিয়োগ দিয়েছেন কিনা তদন্ত কমিটি খতিয়ে দেখেছে। এই নিয়োগে বেশকিছু অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। নিয়োগপত্রে বর্তমান রেজিস্ট্রার স্বাক্ষর করেননি। বিভাগের প্ল্যানিং কমিটিকে না জানিয়ে শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নিয়োগপ্রাপ্তদের ৯ জন ছাড়া বাকিদের জীবনবৃত্তান্ত মেলেনি। এসব অনিয়মের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করবে তদন্ত কমিটি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক মুহম্মদ আলমগীর বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় আমাদের তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলো সেটি আমরা সম্পন্ন করেছি। এই নিয়োগ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন, সরকারের নিষেধাজ্ঞা ও সাংবিধানিকভাবে অবৈধ। তবে তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়ে তিনি বিস্তারিত বলতে রাজি হননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১২ ঘণ্টা, মে ২১, ২০২১

আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।