ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

বেরোবি ভিসির উপস্থিতির দাবিতে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
বেরোবি ভিসির উপস্থিতির দাবিতে শিক্ষার্থীদের গণস্বাক্ষর গণস্বাক্ষর। ছবি: বাংলানিউজ

রংপুর: বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর ক্যাম্পাসে সার্বক্ষণিক উপস্থিতি এবং দুর্নীতির হাওয়া ভবন খ্যাত ঢাকার লিয়াজোঁ কার্যালয় বন্ধের দাবিতে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ কর্মসূচি পালন করছেন তারা।

 

শিক্ষার্থীরা জানান, বিভাগের যোগ্য শিক্ষক থাকা সত্ত্বেও সম্পূর্ণ অবৈধভাবে একাই অনেকগুলো বিভাগের বিভাগীয় দায়িত্ব পালন করছেন উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ। এছাড়া তিনি সার্বক্ষণিক ঢাকায় অবস্থান করার কারণে বিভিন্ন সময় বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষর নিতে হয়রানির শিকার হচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহ ১৩শ’ দিনের মধ্যে ১১শ’ দিনই ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত ছিলেন এবং ক্যাম্পাসে না এসে ঢাকার লিয়াজোঁ কার্যালয় থেকে তিনি একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করে চলেছেন। অবৈধভাবে বিভাগীয় প্রধান নিয়োগ, শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হয়রানি করেছেন তিনি। একের পর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্ম দিয়ে তিনি সারাদেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে চলেছেন।

গত এক বছরের বেশি সময় ক্যাম্পাসে না এলেও গত ১৫ জানুয়ারি (শুক্রবার) সকাল ৯টার দিকে হঠাৎ করে ঢাকা থেকে ক্যাম্পাসে আসেন তিনি। তবে মূল প্রবেশপথ ব্যবহার না করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের দরজা দিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকেন।
 
বিষয়টি জানাজানি হলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তার সঙ্গে দেখা করার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেন। বাসভবন ঘেরাও করে সাড়ে ৩ ঘণ্টা অবস্থান করেও তার সাক্ষাৎ পাননি বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, উপাচার্য তাদের আসার খবর পেয়ে বাসভবনের পেছনের দরজা দিয়ে লুকিয়ে ক্যাম্পাস ছেড়েছেন।

এসব অভিযোগের ব্যাপারে উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমুল্লাহর মোবাইলে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২১, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।