ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

সেশন ফি দিতে না পারায় বই পায়নি এনায়েতপুরের ৩০০ শিক্ষার্থী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
সেশন ফি দিতে না পারায় বই পায়নি এনায়েতপুরের ৩০০ শিক্ষার্থী

সিরাজগঞ্জ: সেশন ফি’র টাকা পরিশোধ করতে না পারায় সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এনায়েতপুরের একটি বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে এখনো পাঠ্য বই দেওয়া হয়নি। দু’সপ্তাহেও পাঠ্য বই না পাওয়ায় এসব শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চরমভাবে ব্যহত হচ্ছে।

পাশাপাশি মানসিকভাবেও  বিধ্বস্ত হয়ে পড়ছে শিশুরা।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে বইয়ের দাবিতে স্কুলের অফিস কক্ষে শিক্ষার্থীরা গিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিকে বই না দেওয়ায় অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, যমুনার ভাঙনে বিধ্বস্ত এনায়েতপুর থানার জালালপুর ইউনিয়নের সৈয়দপুর মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রায় ৫০০ শিক্ষার্থী রয়েছে। বার্ষিক পরীক্ষা শেষে শিক্ষার্থীদের ৫০০ টাকা সেশন ফি দিয়ে নতুন বই নিতে বলা হয়। ওই টাকা দিতে না পারায় বিদ্যালয়ের তিন শতাধিক শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া হয়নি। বই বিতরণ উৎসবের দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত সপ্তম শ্রেণির ৯৫ জন, অষ্টম শ্রেণির ১৪১ জন ও নবম শ্রেণির ৯০ শিক্ষার্থীকে বই দেওয়া হয়নি।

আকাশ, আরিফুলসহ কয়েখ শিক্ষার্থী বাংলানিউজকে জানায়, প্রধান শিক্ষক আবদুল হামিদ স্যার বলেছেন টাকা না দিলে বই দেওয়া হবে না। টাকা না দেওয়ায় বই দেননি। আমরা খালি হাতে বাড়িতে ফিরে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের দাবি বিনামূল্যের বই নিতে কেন টাকা দিতে হবে ? 

রবি মোল্লা, সাহেদ আলী ও জমেলা খাতুনসহ বেশ কয়েকজন অভিভাবক জানান, প্রধানমন্ত্রীর বিনামূল্যে বই বিতরণের নির্দেশ মানছেন না প্রধান শিক্ষক আবদুল হামিদ। সে টাকা না দিলে বই দিবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।  

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক শিক্ষক বলেন, সারাদেশে বছরের প্রথম দিনেই বই বিতরণ করা হলেও আমাদের স্কুলে হেড মাস্টারের নির্দেশ মোতাবেক ১৪ দিন হলো বই গোডাউনে তালাবদ্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে।  

এ অভিযোগ অস্বীকার করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হামিদ বলেন, সরকারি নিয়ম মেনে অ্যাকাউন্ট খুলে সেশন ফির টাকা আগে উত্তোলনের কথা বলা হয়েছে। যারা বই পায়নি দ্রুতই তাদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে।

শাহজাদপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম শাহাদৎ হোসেন জানান, বই বিতরণে বিলম্বের কারণ তদন্ত করা হবে। ইতোমধ্যে দ্রুত বই বিতরণের জন্য প্রধান শিক্ষককে বলা হয়েছে।  

শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহ শামছুজ্জোহা জানান, যথাসময়ে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের বই তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোথাও এর ব্যতিক্রম হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৮২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০২১
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।