ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে অটো পাস: মিলন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করতে অটো পাস: মিলন এডুকেশন ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত আলোচনা সভা

ঢাকা: বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আ ন ম এহছানুল হক মিলন বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থার ধ্বংস শুরু হয় অটো পাস ও সংক্ষিপ্ত পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে। এরই ধারাবাহিকতায় সৃজনশীলতা পরিহার করে গাইড বই, নোট বই ব্যবহার করে জন্ম নেয় জাতির জন্য অভিশপ্ত নকল।

তিনি বলেন, আজ শিক্ষা ব্যবস্থাকে আবারও ধ্বস করতে করোনার অজুহাতে করুণা দেখিয়ে অটো পাস চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এর মাধ্যমে জাতিকে ধ্বংষ করার ষড়যন্ত্রে মেতেছেন শাসকগোষ্ঠী।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের এডুকেশন ইনিশিয়েটিভ আয়োজিত ‘করোনাকালীন পরীক্ষায় অটোপাস: শিক্ষার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।

এহছানুল হক মিলন বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময়ের পাবলিক পরীক্ষাগুলো অনুষ্ঠিত হয় পরবর্তী বছর অর্থাৎ ১৯৭২ সালে। একই বছর দুবার সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হয়। তখন শিক্ষাবিদরা বুঝে উঠতে পারেননি কোনো না কোনো সময় এসে সেশনজট আসবে। অটো পাসের বন্দোবস্ত করে জাতি আজও সেই কলঙ্ক নিয়ে আছে। আজ আবার ২০২০ সালে এসে সেই অটো পাস দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে। অথচ অটো পাস দেওয়ার আগে যে যাদুর কাঠি দিতে হয় সরকার সেটাও দেয়নি।

তিনি বলেন, কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ভর্তি করা হবে সেটা ভাবা হয়নি। দেশের সব প্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে, বাজার, পরিবহন চলছে আপন নিয়মে। সব খোলা থাকবে শুধু স্কুল-কলেজ বন্ধ কেন? অবৈধ সরকারের এই অবৈধ সিদ্ধান্ত আমরা মানি না। আমরা অটো পাসের এই কলঙ্ক জাতির ঘাড়ে চাপাতে দেব না।

মিলন বলেন, সব দলের মধ্যে অটো পাস নেতা-নেত্রী আছে। অটো পাসে দল চলে, সরকারও কোনো কোনো সময় হয়- তবে শিক্ষা চলতে পারে না। কোনো এক দেশের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপি নেতা রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, শিক্ষক নেতা সেলিম ভূইয়া, রোকেয়া চৌধুরী প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২০
ইএআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।