ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী ডিজিটাল শিক্ষার আওতায় এসেছে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩১৯ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২০
৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী ডিজিটাল শিক্ষার আওতায় এসেছে

ঢাকা: ডিজিটাল ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকার ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীর শিক্ষা পৌঁছাতে পারছে জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বাকি শিক্ষার্থীদের কাছেও অনলাইনে শিক্ষা পৌঁছে দিতে সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে সরকার।

সোমবার (০৬ জুলাই) আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটি আয়োজিত ‘বর্তমান বৈশ্বিক সংকটকালে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, গত ১৭ মার্চ সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার পর ২৯ মার্চ থেকে সংসদ টেলিভিশনের মাধ্যমে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের ক্লাস চালু করেছি।

এছাড়াও অনলাইনে মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলো তাদের শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিচ্ছেন। দেশব্যাপী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জরিপ করে দেখেছি ডিজিটাল শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে প্রায় ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে শিক্ষা পৌঁছাতে পারছি। বাকি শিক্ষার্থীদের কাছে ডিজিটাল শিক্ষা পৌঁছাতে সব রকম চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, শিক্ষকদের অনলাইনের মাধ্যমে প্রশিক্ষণ দেওয়ার চেষ্টা করছি। শিক্ষার্থীদের যাতে শিক্ষা জীবনে ব্যহত না হয়, তারা যেনো ঝরে না পড়ে সেক্ষেত্রে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।  

দীপু মনি বলেন, তথ্য প্রযুক্তি খাতে যতো অর্জন, যতটুকু আমরা এগিয়ে এসেছি পুরোটাই করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। বিশ্বের উন্নত দেশগুলোও এই রকম পরিস্থিতির জন্য তৈরি ছিলো না। সবাইকে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার করতে হচ্ছে। আগামী ৪-৫ বছরের মধ্যে আমাদের অনলাইন এডুকেশন সিস্টেমে যেতেই হতো, সেখানে আমরা অনেক আগেই এই সংকটকালীন সময়েই অনলাইন এডুকেশন চালু করতে পেরেছি।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের মন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেন, আজকে আমরা যে ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখতেছি তার ভিত্তি কিন্তু আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্থাপন করেছেন। এটিও মনে রাখা উচিত আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছেন। তার সুফল আমরা এখন ভোগ করছি। আমাদের এখন প্রায় সাড়ে ১০ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারী আছে। এছাড়া ৩৮০০ ইউনিয়নে এখন ইন্টারনেট সংযোগ রয়েছে। যার সুফলতা আমরা পাচ্ছি।

তিনি বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থা কিংবা ক্লাস রুমকে যদি ডিজিটাল না করতে পারি তাহলে কিছুটা পিছিয়ে যাবো। ছাত্র-ছাত্রীদের কথা চিন্তা করে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেটের দাম ২৫ শতাংশ কম নিয়ে থাকি। আমরা ৬০০ এর মতো ক্যম্পাসে ফ্রি কানেক্টিভিটি দিয়েছি। আমি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এবং শিক্ষকদের জন্য বিনামূল্যে ব্যন্ডউইথের ব্যবস্থা করবো। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়েও ইন্টারনেটের ব্যবস্থা করবো।

অনলাইন আলোচনায় আরও বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল ইসলাম, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক সাংবাদিক শ্যামল দত্ত।
 
অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক উপ-কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল খালেক। সঞ্চালনা করেন আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক শামসুন নাহার চাঁপা।

বাংলাদেশ সময়: ২৩০৪ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২০
এমইউএম/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।