ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

গবেষণা-শিক্ষার মান নিশ্চিতই ঢাবির শতবর্ষ পূর্তির অঙ্গীকার

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৯ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২০
গবেষণা-শিক্ষার মান নিশ্চিতই ঢাবির শতবর্ষ পূর্তির অঙ্গীকার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ২০২১ সালে শতবর্ষ পূর্তি ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) গবেষণার সম্প্রসারণ ও শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান।

বুধবার (১ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চ্যুয়াল এক আলোচনা সভায় এ অঙ্গীকারের কথা জানান তিনি।  

ঢাবি উপাচার্য বলেন, এবার বিশ্ববিদ্যালয় দিবস এমন এক সময় উদযাপিত হচ্ছে যখন ‘মুজিববর্ষ’ চলমান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উৎসব এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উৎসব উদযাপনের জন্য আমরা প্রস্তুত হচ্ছি। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে আমরা জাঁকজমকপূর্ণভাবে এই মাহেন্দ্র ক্ষণ উদযাপন করতে পারছি না। এই দুঃসহ অবস্থা কেটে যাবে এবং অদূর ভবিষ্যতে শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা আনন্দঘন পরিবেশে বর্ণাঢ্যভাবে সব উৎসব উদযাপন করবো।  

শতবর্ষ পূর্তি ঘিরে ঢাবিতে গবেষণা কাজের সম্প্রসারণ ও শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করার অঙ্গীকার জানিয়ে উপাচার্য বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ পূর্তি ঘিরে গবেষণা সম্প্রসারণ ও শিক্ষার গুণগতমান নিশ্চিত করাই হবে আমাদের অঙ্গীকার। এই অঙ্গীকার বাস্তবায়নে স্ব-স্ব অবস্থান থেকে কাজ করার জন্য শিক্ষক, প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের গৌরব ও ঐতিহ্যের প্রতীক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এবং এর উত্তরোত্তর উৎকর্ষ সাধনে সংশ্লিষ্ট সবার সম্মিলিত ও আন্তরিক সহযোগিতা চাই।  

ঢাবির ৯৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ঘিরে আয়োজিত এ ভার্চ্যুয়াল আলোচনা সভায় ‘শতবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রসঙ্গ: আন্দোলন ও সংগ্রাম’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।  

তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এ দেশের সব আন্দোলন-সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। এটি জাতীয় ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন, ভাষা আন্দোলন, মহান স্বাধীনতা আন্দোলনসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এসব আন্দোলনে বিভিন্ন সময় অসংখ্য শিক্ষক-শিক্ষার্থী গ্রেফতার ও নির্যাতনের শিকার হন এবং আত্মত্যাগ করেন।  

দেশ ও জাতির প্রত্যাশা পূরণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য অবদান তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, শুধু জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চায় নয়, দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নেও এই বিশ্ববিদ্যালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছে।

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে ঢাবির প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমাজউদ্দিন আহমদ, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরী, সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. লুৎফর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এ কে আজাদ প্রমুখ অংশ নেন।  

এদিকে ঢাবির ৯৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সীমিত কর্মসূচি নেওয়া হয়। বুধবার সকাল ১০টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবন প্রাঙ্গণে জাতীয় সংগীত পরিবেশন, জাতীয় পতাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন ও বেলুন ওড়ানোর মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভিন্ন হলের প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ও সীমিত সংখ্যক শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৮২৭ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২০
এসকেবি/এইচজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।