ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

১৪ দফা দাবিতে জাবির কর্মচারীদের কর্মবিরতি

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৯ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২৩
১৪ দফা দাবিতে জাবির কর্মচারীদের কর্মবিরতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: ১৪ দফা দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নতুন প্রশাসনিক ভবন অবরোধ করে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কর্মচারীরা।

বুধবার (৭ জুন) সকাল পৌনে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সমনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তারা।

এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কর্মসূচি চলমান রয়েছে।

কর্মচারীদের দাবিগুলো হলো: কর্মচারীদের পদোন্নতি নীতিমালায় ৮৩ ও ৮৪ নম্বর ক্রমিকের শর্ত ও অভিজ্ঞতায় ন্যায় ৮৫ নম্বর ক্রমিকের শর্ত ও অভিজ্ঞতা একই করা ও ঊর্ধ্বতন সহকারী, সর্টার গ্রেড-৩ এবং সমমানের কর্মচারীদের উচ্চতর স্কেল দেওয়া; তৃতীয় শ্রেণি ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারীদের নৈশ ভাতা, সব কর্মচারীদের ওভারটাইম বেসিক হারে দেওয়া; ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার বিভাগীয় শর্ত বাতিল করে শুধু পাস নম্বর পেলেই পোষ্যদের ভর্তি করানো; বাস ড্রাইভারদের ন্যায় বাস হেলপার, কন্ডাক্টরদের ২৫০ ঘণ্টা ওভারটাইম দেওয়া; মাস্টাররোল ও দৈনিক মজুরিভিত্তিতে নিয়োজিত কর্মচারীদের স্থায়ীকরণ; সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির টাকা ওভারটাইম হিসেবে দেওয়া।

এছাড়াও তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের পুরাতন বাসা ভাড়া কমানো; হল অ্যাটেনডেন্টদের উৎকালীন ভাতা ১২০০ টাকার পরিবর্তে বেসিকহারে ওভারটাইম দেওয়া; একটি নতুন পাবলিক/প্রাইভেট ব্যাংকের শাখা চালু করা; রাঙামাটি কবরস্থান জরুরি ভিত্তিতে সংস্কার করা; রাঙামাটি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থানান্তর করা; বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক অনুমোদিত সব সরকারি/বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভেনিং ও উইকেন্ডসহ সব ডিগ্রির সার্টিফিকেট আমলে নিয়ে কর্মচারীদের পদোন্নতির ব্যবস্থা করা; কলাবাগান ও রাঙামাটি আবাসিক এলাকার জামে মসজিদে ইমাম নিয়োগ করা ও ২০ নম্বর হল থেকে কলাবাগান আবাসিক এলাকায় পানি সংযোগ স্থাপন করা, শহীদ সালাম বরকত হল থেকে কলাবাগান মসজিদ পর্যন্ত রাস্তায় বিদ্যুৎ সংযোগ এবং কলাবাগান ও রাঙামাটি আবাসিক এলাকার ঝুলন্ত তার সরিয়ে যথাস্থানে স্থাপন করা।

কর্মসূচির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল কালাম হাওলাদার বাংলানিউজকে বলেন, ‘আমরা ইতোপূর্বে প্রশাসনের কাছে দাবিগুলো জানিয়েছিলাম। প্রশাসন আমাদের আশ্বস্ত করছিল পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় দাবি মেনে নেওয়া হবে। একটি সিন্ডিকেট সভা হয়ে গেছে কিন্তু প্রশাসন দাবি মেনে নেয়নি। দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আমরা আজকের এ কর্মসূচি পালন করছি। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ কর্মসূচি চলমান থাকবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০২৩
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।