ঢাকা, বুধবার, ৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

ইতিবাচক সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ১, ২০২২
ইতিবাচক সপ্তাহ পার করল দেশের পুঁজিবাজার

ঢাকা: জুন ক্লোজিংয়ের কারণে মাসের শুরুর দিকে সূচকের ধারাবাহিক পতন হলেও বিদায়ী সপ্তাহটি (২৬ থেকে ৩০ জুন) উত্থানে পার করেছে দেশের পুঁজিবাজার। বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে সব সূচক বেড়েছে।

সূচকের সঙ্গে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দর এবং টাকার পরিমাণে লেনদেনও বেড়েছে। বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইর লেনদেন বেড়েছে ৩৫ কোটি টাকা বাড়লেও সিএসইতে ৩ কোটি টাকা কমেছে।

ডিএসই ও সিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ সূচক বাড়লেও পরের দুই সপ্তাহ টানা পতন হয়। জুন ক্লোজিংয়ের কারণে প্রতি বছরই এই সময়টা সূচক নিম্নমুখী থাকে। তবে বিদায়ী সপ্তাহ অনেকটা স্বস্তির মধ্যে পার করেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।

এ ব্যাপারে ডিবিএ’র সাবেক সভাপতি ও ডিএসইর পরিচালক শরীফ আনোয়ার হোসাইন বলেন, প্রত্যেক বছরের এই সময়টা বিশেষ করে জুন মাসে কিছুটা লেনদেনে ভাটা পরে। জুন ক্লোজিংয়ের কারণে বাজারে কিছুটা লেনদেন কমে যায়। অনেকের ঋণ এডজাস্টমেন্টের বিষয় থাকে। তবে বিদায়ী সপ্তাহ সূচক ও লেনদেন ইতিবাচক ছিল। জুলাই থেকে বাজারে লেনদেন আরও বাড়বে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসই তিন হাজার ৮৫৭ কোটি ৪১ লাখ ৪৫ হাজার ২৮৩ টাকার লেনদেন হয়েছে। আর আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল তিন হাজার ৮২২ কোটি ১৭ লাখ ৮৩ হাজার ৪২৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ৩৫ কোটি ২৩ লাখ ৬১ হাজার ৮৬০ টাকা বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৪৯.২৯ পয়েন্ট বা ০.৭৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩৭৬.৯৪ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ৩.৮৫ পয়েন্ট বা ০.২৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৩৮৬.৭৮ পয়েন্টে। তবে ডিএসই-৩০ সূচক ৩.০১ পয়েন্ট বা ০.১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ২৯৫.৫৯ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯০টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৬৫টির বা ৬৭.৯৫ শতাংশের, কমেছে ৯৪টির বা ২৪.১০ শতাংশের এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির বা ৭.৯৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।

বিদায়ী সপ্তাহে প্রথম কার্যদিবসে লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল পাঁচ লাখ ১৪ হাজার ৩১৬ কোটি ৪৬ লাখ চার হাজার ৮৬৯ টাকায়। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে বাজার মূলধন দাঁড়ায় পাঁচ লাখ ১৭ হাজার ৭৮১ কোটি ৬৯ লাখ ১১ হাজার ১৫৭ টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন তিন হাজার ৪৬৫ কোটি ২৩ লাখ ছয় হাজার ২৮৮ টাকা বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে লেনদেনের শীর্ষে থাকা ১০ কোম্পানি হলো- বেক্সিমকো লিমিটেড, শাইনপুকুর সিরামিক, ফুওয়াং ফুড, আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ওরিয়ন ফার্মা, সিলভো ক্যামিক্যাল, স্কয়ার ফার্মা, জেএমআই হসপিটাল, বাংলাদেশ ফাইনান্স লিমিটেড ও বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন।

অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১৯৫ কোটি ৯০ লাখ ২৯ হাজার ০৯৮ টাকার। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ১৯৯ কোটি ১৬ লাখ ৮৪ হাজার ৩২৩ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন তিন কোটি ২৬ লাখ ৫৫ হাজার ২২৫ টাকা কমেছে।

সপ্তাহটিতে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১১০.৬৭ পয়েন্ট বা ০.৫৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার ৭২৭.৫১ পয়েন্টে।

সপ্তাহজুড়ে সিএসইতে ৩৪৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ২০৪টির দর বেড়েছে, ১২২টির কমেছে এবং ২১টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ০১, ২০২২
এসএমএকে/কেএআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।