ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

এক সংস্থার অধীনে আসছেন খাদ্য ব্যবসায়ীরা: খাদ্যমন্ত্রী

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ৭, ২০২২
এক সংস্থার অধীনে আসছেন খাদ্য ব্যবসায়ীরা: খাদ্যমন্ত্রী

ঢাকা: খাদ্য ব্যবসায়ীদের এক সংস্থার অধীনে আনার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। বলেছেন, খাদ্য উৎপাদনকারী থেকে শুরু করে বিভিন্ন স্তরের ব্যবসায়ীদের সরকারি ১৮টি সংস্থার অধীনে কাজ করতে হয়।

এজন্য বিভিন্ন জটিলতার সৃষ্টি হয়।

মঙ্গলবার (৭ জুন) বিশ্ব নিরাপদ খাদ্য দিবস-২০২২ উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘উন্নত অর্থনীতির জন্য নিরাপদ খাদ্য’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।

খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ফরাসউদ্দিন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গিয়াসউদ্দিন মিয়া, এফএওর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ রবার্ট সিম্পসনসহ খাদ্যসংশ্লিষ্ট সংস্থাপ্রধান, এফএওর প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা।

মন্ত্রী বলেন, খাদ্য ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কৃষি, বাণিজ্য, শিল্প এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সংস্থাগুলোর মধ্যে মতভেদ রয়েছে। এজন্য কারা তদারকি করবে সে বিষয়টি কেবিনেটে (মন্ত্রিপরিষদ সভা) উত্থাপন করা হয়েছে। কেবিনেট বলে দেবে এগুলো কার কাজ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ খাদ্য নিরাপত্তায় সর্বাধিক কাজ করছে। কিন্তু তারা লাইসেন্সিং অথরিটি না। এক্ষত্রে অনকে সময় কাজ করতে সমস্যা হয়।

ব্যবসায়ীদের উদ্যেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারাও খাদ্যের মান উন্নয়ন করুন। কেউ কেউ মুনাফার জন্য ইচ্ছে করে অনিরাপদ খাদ্য তৈরি করেন। আমরা চাই দেশের খাদ্য বিদেশের বাজার জয় করুক। এখন যেটুকু বিদেশে রপ্তানি হচ্ছে, সেটা প্রবাসী বাংলাদেশিরা খাচ্ছেন। আমরা চাই, অন্যান্য দেশের মানুষও বাংলাদেশি পণ্য খাবেন।

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, চাল নিরাপদ করতে আমরা সেটা কতটুকু ছাঁটাই করা যাবে, কী মেশানো যাবে, কোনটা যাবে না- সেজন্য আইন করছি। তাতে পুষ্টিমান ঠিক থাকবে। খসড়া আইনটি কেবিনেটে পাস হয়ে এখন ভেটিংয়ে রয়েছে। আশা করছি আগামী অধিবেশনে সেটি পাস হবে। তখন চাল ব্যবসায়ীদের নিয়ন্ত্রণ সহজ হবে।

তিনি বলেন, চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে জনসচেতনতাও দরকার। আমরা বস্তায় চাল কিনি না। কিন্তু সেটা যখন পালিশ করে প্যাকেটে ভরে তখন ১০ টাকা বেশি দিয়ে কিনি। সেজন্য ব্যবসায়ীরাও সেটা করে।

খাদ্যসচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, আমরা নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষকে আরও শক্তিশালী করতে চাই। এখনও এ সংস্থা অনেক কাজ করছে। কিন্তু দেশের মানুষ বেশি বলে সেটি দৃশ্যমান হচ্ছে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, জুন ৭,২০২২
জিসিজি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।