ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

তিন মাসে ই-টিআইএন নিয়েছেন ৪ লাখ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২১
তিন মাসে ই-টিআইএন নিয়েছেন ৪ লাখ

ঢাকা: চলতি অর্থ বছরের প্রথম তিন মাসে চার লাখের বেশি ব্যক্তি ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।

তিনি বলেন, ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে ১৩ লাখ মানুষ নিবন্ধন নিয়েছেন।

এ অর্থ বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি ২৬ শতাংশ। এখন পর্যন্ত ৬৭ লাখ ৯২ হাজার ব্যক্তি ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন করেছেন।

মঙ্গলবার (২৬ অক্টোবর) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) এক সংবাদ সম্মেলনে  তিনি এ কথা বলেন।  

সংবাদ সম্মেলনে এনবিআর চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিম বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে আয়কর মেলা আয়োজনের পরিবর্তে কর কমিশনার অঞ্চলগুলোতে জাঁকালোভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ১ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন গ্রহণের জন্য করদাতাদের সেবা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, দেশব্যাপী ৩১টি কর অঞ্চলের ৬৪৯টি সার্কেলে ১ নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে আয়কর রিটার্ন গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি অফিসে উন্মুক্ত স্থান, কার পার্কিং এরিয়া প্রভৃতিতে রিটার্ন গ্রহণ বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে রিটার্ন গ্রহণের পরিবেশ থাকবে। সেবা কেন্দ্রে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা থাকবে। প্রতিটি কর অঞ্চলের নিজস্ব ওয়েবসাইট তথ্যসহ হালনাগাদ করতে হবে। উক্ত ওয়েবসাইটে আয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন ফর্ম, পরিপত্র, রিটার্ন পূরণের নির্দেশিকা, ভিডিও টিউটোরিয়ালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশ থাকবে।

তিনি আরও বলেন, কর অঞ্চলগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখবে। অন্যান্য মাধ্যমের পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। কর অঞ্চল-৪ এর ব্যবস্থাপনায় সচিবালয়ের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য সচিবালয় ও অফিসার্স ক্লাবের সদস্যদের জন্য অফিসার্স ক্লাবে রিটার্ন গ্রহণ বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপনের মাধ্যমে নভেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহ কর তথ্য সেবা দেওয়া হবে।

এনবিআর চেয়ারম্যান রহমাতুল মুনিম বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জন্য সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের সঙ্গে আলোচনা করে ২ নভেম্বর করদাতাদের রিটার্ন গ্রহণ ও কর তথ্য সেবা দেওয়া হবে। সব কর অঞ্চলের কমিশনাররা তাদের নিজ নিজ কর অঞ্চলের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়ে সরকারের নির্দেশনাবলী অনুসরণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।

তিনি বলেন, আগামী ২৪ নভেম্বর সর্বোচ্চ কর প্রদানকারী ১৪১ জন করদাতাকে ট্যাক্স কার্ড এবং জেলা/সিটি করপোরেশন পর্যায়ে ৫২৫ জনসহ মোট ৬৬৬ জন সেরা করদাতাকে একটি ক্রেস্ট, একটি পরিচিতি কার্ড ও একটি সম্মাননা সনদ দেওয়া হবে। ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামের চারটি কর অঞ্চলে কেন্দ্রীয়ভাবে ও অন্য সব কর অঞ্চল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যথাযথ আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে জেলা ও সিটি করপোরেশন ভিত্তিক সেরা করদাতা সম্মাননা দেবে। আগামী ৩০ নভেম্বর জাতীয় আয়কর দিবস ২০২১ উদযাপন করা হবে। এ সময় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০২১
এসএমএকে/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।