ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দুর্নীতি: পদত্যাগে বাধ্য হলেন সাউথ বাংলার চেয়ারম্যান 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১, ২০২১
দুর্নীতি: পদত্যাগে বাধ্য হলেন সাউথ বাংলার চেয়ারম্যান 

ঢাকা: অর্থপাচার, অর্থ আত্মসাৎ, বিএনপিকে অর্থায়নসহ অভিযোগের শেষ নেই নতুন প্রজন্মের সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের (এসবিএসি) চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে।

২০১৩ সালে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে চেয়ারম্যানের পদ আকড়ে আত্মীয় স্বজনের নামে বেনামে ঋণ নিয়েছেন তিনি, পাচার করেছেন বিদেশে।

এসব অভিযোগে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন এস এম আমজাদ হোসেন।

এসবিএসি ব্যাংক সূত্র জানায়, শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আমজাদ হোসেন সম্প্রতি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। তবে অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠেয় ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) পর তার পদত্যাগপত্র কার্যকর হবে। এই সময়ের মধ্যে আমজাদ হোসেন নতুন একজন চেয়ারম্যান নির্বাচন করার অনুরোধ জানিয়েছেন।

সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কর্মাস ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসলেহ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, এসএম আমজাদ হোসেনের পদত্যাগপত্র পেয়েছি। এ বিষয়ে পর্ষদ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের একাধিক পরিচালক জানান, চলতি মাসের ২৬ তারিখে ব্যাংকের পর্ষদ সভা হবে। ওই সভায় আমজাদ হোসেনের পদত্যাগ করার দাবি জানানো হবে। তিনি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করে দায়িত্ব হস্তান্তর না করলে ব্যাংকের বিধি অনুযায়ী তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করা হবে।

পদত্যাগপত্রে আমজাদ হোসেন বলেছেন, কয়েক মাস ধরে আমি অসুস্থ। হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাও নিয়েছি। আমার পক্ষে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করা সম্ভব হচ্ছে না। এজন্য আমি এসবিএসি ব্যাংক পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করতে চাই। তবে আমার পদত্যাগ অক্টোবর মাসে অনুষ্ঠেয় বার্ষিক সাধারণ সভার পরে কার্যকর হবে। এই সময়ের মধ্যে নতুন একজন চেয়ারম্যান নির্বাচন করার অনুরোধ করা হলো।

এস এম আমজাদ হোসেন ২০১৩ সাল থেকে এসবিএসি ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। এ সময়ে নামে-বেনামে আত্মীয়স্বজনের নামে নিজ ব্যাংক থেকে ২৬০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন নজিরবিহীনভাবে। আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে বাগেরহাটে রেলওয়ের জমি দখল, হিমায়িত খাদ্য রপ্তানির নামে বন্ডেড সুবিধা আনা কাগজ খোলাবাজারে বিক্রির অভিযোগ রয়েছে।

তার বিরুদ্ধে ২৫০ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে লকপুর গ্রুপের চারটি প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স বাতিলের মামলা আদালতে নিষ্পত্তির অপেক্ষায়। অর্থপাচার, অর্থ আত্মসাৎ, ঋণ জালিয়াতি, বিএনপিকে অর্থায়নের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন আমজাদ হোসেন ও তার স্ত্রী-কন্যার বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২১ ,২০২১/আপডেট: ১৬৫৬ ঘণ্টা
এসই/এসআইএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।