ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা

উপজেলা করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৬ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২১
বেনাপোল কাস্টমসে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা

বেনাপোল (যশোর): বেনাপোল কাস্টমস হাউসে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি পণ্য থেকে ৬ হাজার ২৪৫ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।

রোববার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যায় বেনাপোল কাস্টমস হাউসের রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম।

এদিকে এর আগের ২০২০-২১ অর্থবছরে বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬ হাজার ২৪৪ কোটি ৬২ লাখ টাকা। অর্থবছর শেষে আদায় হয়েছে ৪ হাজার ১৪৩ কোটি টাকা। বছরটিতে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অনান্য সময়ের চাইতে বেশি হলেও ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি টাকা।  

এছাড়া ২০১৯-২০ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ঘাটতি ছিল ৩ হাজার ৩৯২ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ঘাটতি ১১৪৫ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ তে ঘাটতি ১৭৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। ২০১৬-১৭ তে বেশি আদায় হয়েছিল ৪৫ কোটি ৪০ লাখ টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ঘাটতি ২০৩ কোটি টাকা।
ব্যাবসায়ীরা জানান, চলতি বছরে এত বড় অংকের লক্ষ্যমাত্রা আদায় না হওয়ার সম্ভবনা বেশি। তবে রাজস্ব আয় বাড়াতে হলে বাণিজ্য সম্প্রসারণে কাস্টমস ও বন্দরে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন করতে হবে। তা না হলে কখনো এত বড় অংকের রাজস্ব আদায় সম্ভব হবে না।

বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মফিজুর রহমান সজন জানান, চলতি অর্থবছরে এত বড় অংকের রাজস্ব আদায় কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। কারণ একদিকে করোনা পরিস্থিতি ও অন্যদিকে সুষ্ঠুভাবে বাণিজ্য সম্পাদনে অবকাঠামো উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ রয়েছে ব্যবসায়ীদের। ভারতীয় ব্যবসায়ীরাও বেনাপোল বন্দরের অব্যবস্থাপনা নিয়ে অনেকবার বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে বাণিজ্য বন্ধ করেছেন। তবে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হলে এ বন্দর থেকে লক্ষ্যমাত্রার দ্বিগুণ রাজস্ব আয় কাস্টমসের পক্ষে সম্ভব।

বেনাপোল কাস্টমস হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার ড. নেয়ামুল ইসলাম জানান, আমদানি বাণিজ্যের ক্ষত্রে বন্দরে পর্যাপ্ত সুবিধা না থাকায় বাণিজ্য সম্প্রসারণ হচ্ছে না। এতে কয়েক বছর ধরে রাজস্বের লক্ষমাত্রা পূরণ অনিশ্চিত হয়ে দাঁড়াচ্ছে। আমদানির চাহিদা বাড়লেও ৫ বছর আগে প্রতিদিন যে পরিমাণ পণ্য আমদানি হতো এখনও তার পরিমাণ সে জায়গাতে রয়েছে। আমদানি পণ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে বন্দরে রাস্তার সংকীর্ণতা রয়েছে। ফলে ব্যবসায়ীরা চাহিদা মত পণ্য আমদানি করতে পাছেন না। বার বার বন্দর কর্তৃপক্ষকে অবকাঠামো উন্নয়নের বিষয়ে বলা হলেও নজরদারী কম। যদি চাহিদা মতো সব ধরনের উন্নয়ন করা হয় তাহলে আমদানির পাশাপাশি রাজস্ব বেশি আদায় হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৬, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।