ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

হবিগঞ্জে বোরো ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩০৬ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২১
হবিগঞ্জে বোরো ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক বোরো সংগ্রহ। ছবি: বাংলানিউজ

হবিগঞ্জ: দুই মাসে হবিগঞ্জ জেলায় কৃষকদের কাছ থেকে লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক বোরো ধান সংগ্রহ করতে পেরেছে সরকার। আগামী ১৬ আগস্ট পর্যন্ত বাকি অর্ধেক ধান সংগ্রহ না হলে ক্রয় কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা হবে বলে জানানো হয়েছে।

জেলাটিতে এ বছর বোরো মৌসুমে ১১ হাজার ১৮৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। ধান সংগ্রহ কার্যক্রম শুরুর প্রায় দুই মাস হয়ে গেছে। এর মাঝে হাওরের ধান তোলাও শেষ। এ পর্যন্ত সংগ্রহ হয়েছে ৬ হাজার ২৬৪ মেট্রিক টন। যা লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেকের তুলনায় কিছু বেশি। ১৬ আগস্ট পর্যন্ত বাকি ৪ হাজার ৯২১ টন ধান সংগ্রহ করা কঠিন হবে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।

জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯১৭ মেট্রিক টন, শায়েস্তাগঞ্জে ১৫২, লাখাইয়ে ১ হাজার ৭১, মাধবপুরে ৯৯০, চুনারুঘাটে ৮৬৯, বাহুবলে ৭৮৬, নবীগঞ্জে ১ হাজার ৬৯১, বানিয়াচংয়ে ৩ হাজার ২৬৯ এবং আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় সংগ্রহ হবে ১ হাজার ৪৩০ মেট্রিক টন ধান বলে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল।

২৩ জুন পর্যন্ত হবিগঞ্জ সদর উপজেলায় ৯১৭ মেট্রিক টন, শায়েস্তাগঞ্জে ১৫২, লাখাইয়ে ১ হাজার ৭১, মাধবপুরে ৩০৬, চুনারুঘাটে ৬০০, বাহুবলে ৫৬০, নবীগঞ্জে ৫৩৩, বানিয়াচংয়ে ১ হাজার ২৪ ও আজমিরীগঞ্জ উপজেলায় ১ হাজার ১০১ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ হয়েছে।  

সে হিসেবে মাধবপুর, নবীগঞ্জ ও বানিয়াচংয়ে লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক ধানও সংগ্রহ করা হয়নি। তবে মাধবপুর উপজেলায় চিকন ধানের পরিমাণ বেশি এবং চিকন ধান ২৬ টাকা দরে বিক্রি করলে কৃষকের লোকসান হয় বলে সংগ্রহের পরিমাণ কম বলে জানিয়েছে খাদ্যবিভাগ।

সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. মাঈন উদ্দিন জানান, আগামী ১৬ আগস্টের মধ্যে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী হবিগঞ্জে ১১ হাজার ১৮৫ মেট্রিক টন ধান সংগ্রহ না হলে ক্রয় কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা খাদ্য কর্মকর্তার কার্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, আমরা ১৪ শতাংশ আদ্রতার প্রতিমণ ধান সংগ্রহ করছি ১০৮০ টাকা দরে। কিন্তু এ বছর কৃষকরা স্থানীয় বাজারে ১৬ শতাংশ আদ্রতার ধানই ৯০০ টাকা দরে বিক্রি করতে পারছেন।

তিনি বলেন, ১৬ শতাংশের ধানকে ১৪ শতাংশ আদ্রতায় আনতে হলে ধানের ওজন কমে যায়। আবার রয়েছে পরিবহন খরচ। তাই অনেক কৃষক সরকারের গুদামে ধান দিতে আগ্রহী না। তারপরও কিছু কৃষক ধান নিয়ে আসছেন। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে বলে আমরা আশাবাদী।

বাংলাদেশ সময়: ১৩০৩ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।