ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

রমজানে পেঁয়াজ-তেল-চিনিসহ ৬ পণ্যের দাম নির্ধারণ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
রমজানে পেঁয়াজ-তেল-চিনিসহ ৬ পণ্যের দাম নির্ধারণ ...

ঢাকা: আসন্ন রমজানে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছয়টি পণ্যের যৌক্তিক খুচরা দাম নির্ধারণ করেছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। দাম বেঁধে দেওয়া পণ্যগুলো হলো- ছোলা, পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, মসুর ডাল, চিনি ও খেজুর।

নির্ধারিত দামে এসব পণ্য বিক্রি নিশ্চিত করতে কাজ করবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থাগুলো।

সোমবার (১২ এপ্রিল) কৃষি বিপণন অধিদফতরের এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পর্যালোচনা, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও সরকারি-বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করে পণ্যের চাহিদা নিরূপণ করা হয়েছে। এই চাহিদার বিপরীতে দেশের উৎপাদন, আমদানির পরিমাণ আমদানির মূল্য বিবেচনা করে যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এছাড়া বাজার মনিটরিংয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতসহ মাঠে থাকবে তিন মন্ত্রণালয় ও তিনটি সেবা প্রতিষ্ঠান। একই সঙ্গে রোজার বাজার নিয়ন্ত্রণে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে। ঢাকায় ২৮টি মনিটরিং দলও কাজ করবে।

নতুন বেঁধে দেওয়া দাম অনুযায়ী, খুচরা বাজারে ছোলা কেজিপ্রতি ৬৩ থেকে ৬৭ টাকা, পেঁয়াজ ৪০ টাকা, ভোজ্যতেলের এক লিটারের বোতল ১৩৯ টাকা, পাঁচ লিটারের বোতল ৬৬০ টাকা, মোটা দানার মসুর ডাল ৬৭-৬৯ টাকা ও সরু দানার ডাল ৯৭ থেকে ১০৩ টাকায় বিক্রি হবে এবং চিনির খুচরামূল্য কেজিপ্রতি ৬৭ থেকে ৬৮ টাকায় কিনতে পারবেন ক্রেতারা। সাধারণ মানের খেজুর কেজিপ্রতি ৮০-১০০ ও মধ্যম মানের খেজুর ২০০-২৫০ টাকার বেশি হতে পারবে না।

এর আগে রাজধানীর খামারবাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে কৃষি বিপণন অধিদফতরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ বলেন, আসন্ন রমজানে বাজারে চাহিদা ও সরবরাহ পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকবে। সবাই মিলে আমরা মনিটরিং করে যে দামটা নির্ধারণ করা হয়েছে সে দামে যাতে বিক্রি করা হয় সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরো ঢাকা শহরে ৩০টির উপরে মোবাইল টিম কাজ করেছে। যদি আমরা দেখতে পাই, কোনো অসাধু ব্যবসায়ী বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা করে সেক্ষেত্রে আমরা আরও মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করবো।  

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, রমজান মাসে প্রায় ৮০ হাজার মেট্রিকটন ছোলা, তিন লাখ টন পেঁয়াজ, দুই লাখ টন ভোজ্যতেল, ৮০ হাজার টন মসুর ডাল, এক লাখ ৩৬ হাজার টন চিনি ও ৪০ থেকে ৫০ হাজার টন খেজুরের চাহিদা রয়েছে।

এদিকে করোনা ভাইরাসজনিত রোগের (কোভিড-১৯) বিস্তার রোধকল্পে সার্বিক কার্যাবলী/চলাচলে বিধি-নিষেধ আরোপ সংক্রান্ত সোমবার (১২ এপ্রিল) প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, খাবারের দোকান ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা এবং রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত কেবল খাদ্য বিক্রয়/সরবরাহ করা যাবে। শপিংমলসহ অন্যান্য দোকান বন্ধ থাকবে। আর কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।