ঢাকা, বুধবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোন-ইউএনডিপির এমওইউ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৭ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২১
বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোন-ইউএনডিপির এমওইউ বাংলাদেশের তরুণদের ক্ষমতায়নে গ্রামীণফোন ও ইউএনডিপির এমওইউ

ঢাকা: বাংলাদেশের তরুণদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) এবং গ্রামীণফোন একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর করেছে।
  
এ চুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের বিশাল তরুণ জনগোষ্ঠীর দক্ষতা বৃদ্ধি ও সম্ভাবনা কাজে লাগানোর মাধ্যমে দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করতে বিভিন্ন প্রোগ্রাম ডিজাইন করতে একসঙ্গে কাজ করবে গ্রামীণফোন ও ইউএনডিপি।


 
বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) গ্রামীণফোনের ভারপ্রাপ্ত সিইও এবং চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার ইয়েন্স বেকার ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের আবাসিক প্রতিনিধি সুদীপ্ত মুখার্জি নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এমওইউতে স্বাক্ষর করেন।  

স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান দু’টির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।  

গ্রামীণফোন বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বাংলাদেশের তরুণ জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়নের জন্য তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি, চাকরি, উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগের সুযোগ কাজে লাগাতে এই সমঝোতা স্মারক কোভিড পরবর্তী বিশ্বের প্রাসঙ্গিকতায় স্বাক্ষর করা হয়েছে। এই জনগোষ্ঠীর বৃহৎ অংশ দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে, কোভিড সৃষ্ট সমস্যা সহ বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতার কারণে তরুণ জনগোষ্ঠীর ভূমিকা রাখার বিষয়টি হুমকির মুখে পড়েছে।
 
এই এমওইউটি প্রতিষ্ঠানগুলোসহ সরকারি, বেসরকারি এবং উন্নয়ন সংস্থার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের ‘সবার জন্য অর্থনৈতিক সুযোগ’ রূপকল্প বাস্তবায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করতে অনুকূল পরিবেশ তৈরির জন্য প্রতিষ্ঠানগুলোকে সক্ষম করে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করবে।
 
এ নিয়ে ইয়েন্স বেকার বলেন, এই এমওইউ বাংলাদেশের তরুণদের জন্য অর্থনৈতিক ও শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখতে গ্রামীণফোনকে সুযোগ করে দিবে। ইউএনডিপি ও সরকারের অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে এই ধরনের প্রোগ্রামগুলোর ডিজাইন ও বাস্তবায়ন অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
অনুষ্ঠানে সুদীপ্ত মুখার্জি বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশ মানিয়ে নিচ্ছে। এ অবস্থায় গ্রামীণফোনের সঙ্গে এই ধরনের সহযোগিতামূলক উদ্যোগ বৈশ্বিক মহামারির কারণে নাজুক হওয়া পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশের তরুণদের সাহায্য করবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দ্রুততার সঙ্গে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
 
গত বছর ইউএনডিপির গ্রহণ করা কোভিড-১৯ পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতি পুনরুদ্ধারে মাল্টি-সেক্টর প্ল্যাটফর্ম চুক্তির ফলাফল হিসেবে এই এমওইউটি স্বাক্ষরিত হয়েছে।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২১
এমআইএইচ/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।