ঢাকা, বুধবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

এলডিসি থেকে উত্তরণে উৎপাদনখাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, মার্চ ১, ২০২১
এলডিসি থেকে উত্তরণে উৎপাদনখাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে

ঢাকা: এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের ফলে আমাদের উৎপাদনখাতে নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে বলে মনে করছে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।  

সংগঠনটি মনে করে, এলডিসি থেকে বাংলাদেশের সফল উত্তরণের পর বাংলাদেশ স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা পেতে পারে, ক্রেডিট রেটিংয়ে উন্নতি হবে, বেসরকারিখাত আরো প্রতিযোগী হতে পারবে, উৎপাদিত পণ্যের গুণগত মান বাড়বে এবং কমপ্লায়েন্স ইস্যুতে বাংলাদেশের আরো দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ তৈরি হবে।

রোববার (১ মার্চ) ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানায়। একই সঙ্গে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের স্বীকৃতিতে অভিনন্দনও জানিয়েছে ডিসিসিআই।

জাতিসংঘের ডেভেলপমেন্ট পলিসি (ইউএন সিডিপি) কমিটি তাদের দ্বিতীয় পর্যালোচনায় বাংলাদেশকে স্বল্পন্নোত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ করেছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে তিনটি মূল সূচক, মাথাপিছু আয় (১২৩০ মার্কিন ডলারের বিপরীতে ১৮২৭ মার্কিন ডলার), মানবসম্পদ (৬৬ পয়েন্টের বিপরীতে ৭৫.৩ পয়েন্ট) এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা (৩২ পয়েন্ট এর চেয়ে কম ২৭ পয়েন্ট) সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডিসিসিআই জানিয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের ফলে বাংলাদেশ অন্য দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সংলাপে নিজেদের অবস্থান আরো সুদৃঢ় করতে পারবে। সর্বোপরি শক্তিশালী আইপিআর অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারলে বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ও আগ্রহ বাড়বে।

ঢাকা চেম্বার মনে করে, স্বল্পোন্নত ক্যাটাগরি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে প্রতিটি দেশকেই বেশকিছু চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয় এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। এলডিসিভুক্ত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ২০২৬ সাল পর্যন্ত ইউরোপসহ বেশ কিছু দেশে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে শুল্ক ও কোটামুক্ত সুবিধা পাবে। তবে এলডিসি থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশকে আইপিআর এবং ট্রিপস চুক্তির আওতায় শর্তাবলী ও শিল্পের কমপ্লায়েন্স মেনে চলার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।  

পাশাপাশি উন্নত দেশগুলো থেকে প্রাপ্ত অগ্রাধিকার ও বিশেষ সুবিধা কমে আসবে, রপ্তানির বাজারে সম প্রতিযোগিতা বাড়বে, বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমবে এবং ছোট ছোট স্থানীয় শিল্পে সহায়তা কমে আসতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির এ আনন্দঘন মুহূর্তে এমন একটি সুখবর আসা সত্যিই সম্মানজনক বলে মনে করে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই)।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০২১
জিসিজি/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad