ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে অধিকাংশ শাকের দাম। এর মধ্যে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বরবটির দাম, আর কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে করলার দাম।

অন্যদিকে, কমেছে শাকের দাম। আটিপ্রতি (মোড়া) তিন থেকে পাঁচ টাকা পর্যন্ত কমেছে বেশিরভাগ শাকের দাম। আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি। আর অপরিবর্তিত রয়েছে আলু, চাল, ডাল, তেল ও মসলার দাম।

শুক্রবার (১৮ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর রামপুরা, মগবাজার চারুলতা মার্কেট, মালিবাগ, মালিবাগ রেলগেট বাজার, মগবাজার শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা, ফকিরাপুল, মতিঝিল টিঅ্যান্ডটি কলোনি বাজার ও খিলগাঁও কাঁচাবাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।

এসব বাজারে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়ে প্রতিকেজি বরবটি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিদরে। আর কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত কমে করলা বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজিদরে, কেজিতে ১০ টাকা কমে উস্তা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজিদরে।

আকার ও মানভেদে আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সবজি। প্রতিকেজি হাইব্রিড শসা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা, শসা (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়, গাজর (আমদানি) ৮০ থেকে ৯০ টাকা, মানভেদে ঝিঙ্গা-ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৪০ থেকে ৫০ টাকা, কাকরোল আকারভেদে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, ঢেঁড়স বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বেগুন আকারভেদে ৬০ থেকে ৯০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৩০ টাকা, টমেটো ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজিদরে।

কাঁচা মরিচ ২০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৭০ টাকা কেজিদরে। আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে আলু, পেঁপে, কচুরমুখি ও কাঁচকলা। এ বাজারে প্রতিকেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজিদরে, পেঁপে ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা, কচুরমুখি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, কাঁচকলা প্রতিহালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

আটিপ্রতি পাঁচ টাকা পর্যন্ত দাম কমেছে শাকের দাম। এসব বাজারে প্রতিআটি লালশাক বিক্রি হচ্ছে ১৫ টাকা, মূলা ও কলমিশাক ১০ থেকে ১২ টাকা, পুঁইশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা, ডাটাশাক ১৫ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। আগের দাম চাওয়া হচ্ছে লাউ ও কুমড়ার শাকে। বর্তমানে লাউ ও কুমড়া শাক বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকায়।

অপরিবর্তিত আছে চাল, ডাল ও ভোজ্যতেল ও মসলার দাম। এসব বাজারে বর্তমামে প্রতিকেজি মিনিকেট (নতুন) চাল বিক্রি হচ্ছে ৫২ থেকে ৫৪ টাকা কেজি, মিনিকেট পুরান ৫৫ থেকে ৫৬ টাকা, বাসমতি ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, আতপ চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা, প্রতিকেজি পোলাওয়ের চাল বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকা কেজিদরে। গুটি চাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা, পায়জাম ৪৫ টাকা ও আঠাশ ৪৫ থেকে ৪৬ টাকা কেজিদরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া সিদ্ধচাল বিক্রি হচ্ছে ৪২ থেকে ৪৪ টাকা কেজিদরে।

প্রতিকেজি ডাবলি ডাল বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা, প্রতিকেজি মসুরের ডাল (দেশি) বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজিদরে। খোলা সয়াবিন বিক্রি হচ্ছে ৯৫ থেকে ১০০ টাকায়।

শান্তিনগর বাজারের সবজি বিক্রেতা হাফিজ জানান, এখনও পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ নেই পাইকার বাজারে। সেখানে সরবরাহ বাড়লে দাম কমে আসবে। যেভাবে কাঁচা মরিচের দাম কমেছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০
ইএআর/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।