ঢাকা, শনিবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

সবচেয়ে খারাপ সময় সম্ভবত শেষ হওয়ার পথে, আশা অর্থনীতিবিদদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
সবচেয়ে খারাপ সময় সম্ভবত শেষ হওয়ার পথে, আশা অর্থনীতিবিদদের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক/ ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ‘গ্লোবাল রিসার্চ ব্রিফিং-২০২০’ বাংলাদেশ অধিবেশন শেষে গণমাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদরা সম্প্রতি বলেছেন, অনিশ্চয়তা রয়ে গেলেও সবচেয়ে খারাপ সময় সম্ভবত শেষ হয়ে যাওয়ার পথে।  

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে ওই অনুষ্ঠানে ব্যাংকের ৩০০ এর বেশি গ্রাহক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগদান করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্যাংকের দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনীতিবিদ সৌরভ আনন্দ তার উপস্থাপনায় বলেন, যদিও কোভিড-১৯ এর কারণে এপ্রিল থেকে জুন এই সময়কালে অর্থনীতি এক বিরাট চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিল, কিন্তু জুন মাসে কিছু কিছু জায়গায় অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে এবং অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ডের আসিয়ান ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক প্রধান অর্থনীতিবিদ এডওয়ার্ড লি বলেন, বিশ্বব্যাপী ঐতিহাসিক মন্দার কারণে আসিয়ান ও দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলে ২০২০ সালে শুধু দুটি দেশ প্রবৃদ্ধি নিবন্ধিত করতে পারবে, যার মধ্যে বাংলাদেশ একটি।

ইউরোজোন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মধ্যপ্রাচ্যের মতো মূল ব্যবসায়িক অংশীদারদের ২০২০-২০২১ অর্থবছরে তীব্র সংকোচনের সম্ভাবনা থাকায় আংশিকভাবে প্রবৃদ্ধি হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রধান অতিথি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলি রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বলেন, কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে বাংলাদেশের মানুষ, সরকার ও ব্যবসায়ীরা সর্বদা তাদের দৃঢ়তা দেখিয়েছে। আমরা অত্যন্ত আশাবাদী যে, এই বৈশ্বিক দুর্যোগেও আমরা আরও বেশি দৃঢ়তা প্রদর্শন করব যার প্রমাণ ইতোমধ্যে প্রতিফলিত হচ্ছে।

‘আমরা আশা করি, ২০২১ সালের মধ্যে কোভিড পরবর্তীকালে ভি-শেপড পুনরুদ্ধার সম্ভবপর হবে এবং আবারও জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে। ’

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নাসের এজাজ বিজয় বলেন, বাংলাদেশ এই বৈশ্বিক পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে অন্যান্য দেশের চেয়ে সুবিধাজনক অবস্থান থেকে। যার কারণগুলো হলো দেশের তুলনামূলকভাবে সীমিত বৈদেশিক এবং সামগ্রিক ঋণ ও পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বিবেচনায় শক্তিশালী ডেব্ট সার্ভিস ক্যাপাবিলিটি।

‘আমরা আমাদের মজবুত অর্থনৈতিক ভিত্তি এবং দেশের কর্মঠ মানুষের দৃঢ়তা কাজে লাগিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক গতি পুনরায় ফিরিয়ে আনতে পারব এবং জাতির কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করব বলে আমি আশাবাদী। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২০
এসই/এইচএডি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।