ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বন্যায় কুড়িগ্রামে ১৪০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি

ফজলে ইলাহী স্বপন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
বন্যায় কুড়িগ্রামে ১৪০ কোটি টাকার ফসলের ক্ষতি বন্যায় নষ্ট ফসলের ক্ষেত। ছবি: বাংলানিউজ

কুড়িগ্রাম: কুড়িগ্রামে চলতি মৌসুমে দীর্ঘস্থায়ী বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির মুখে ফসল ঘরে তুলতে না পারায় চরম হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা। আর তাই সরকারিভাবে পুনর্বাসন ও ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার দাবি বন্যাকবলিত কৃষকদের।

এই পরিস্থিতিতে অনেক কৃষক বেসরকারিভাবে ঋণ নিয়ে বিভিন্ন ফসল-সবজি চাষাবাদ করে তা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় কিস্তি দিতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন। ঋণ নিয়ে সবজি চাষ করে চরম ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে বানভাসি কৃষকরা।

কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, চলতি দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কবলে জেলায় ১৭ হাজার ৫৫৬ হেক্টর আবাদি জমির ফসল সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হয়। এরমধ্যে নষ্ট হয়েছে ১১ হাজার ৬৬২ হেক্টর জমির ফসল। এতে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৮৫৮জন কৃষক ১৪০ কোটি ৬৭ লাখ টাকা লোকসানের মুখে পড়েছে।  বন্যায় নষ্ট ফসলের ক্ষেত।  ছবি: বাংলানিউজসবচেয়ে বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে পাট, আউশ ধান, আমন বীজতলা ও শাকসবজি ক্ষেত। পাটক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে ৪ হাজার ৫৩০ হেক্টর, আউশ ধানের ক্ষতি হয়েছে ৪ হাজার ৪৩০ হেক্টর, আমন বীজতলা ১ হাজার ৭১ হেক্টর, শাকসবজি ৯৫৩ হেক্টর, তিল ৩০২ হেক্টর, মরিচ ২০৫ হেক্টর, চিনা ১৪০ হেক্টর, কাউন ২০ হেক্টর ও ভুট্টা ১৪ হেক্টর।  

কৃষি বিভাগ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সরকারিভাবে সহযোগিতার জন্য ১০৫ একর কমিউনিটি বীজতলা, শতাধিক ভাসমান বীজতলা ও ১১২টি ট্রে বীজতলা করে মাত্র ৭ হাজার ৬৭জন কৃষককে সহযোগিতা দেওয়া হবে। এছাড়াও ১ হাজার ২০০ বিঘা জমিতে মাসকালাই কার্যক্রমের মাধ্যমে ১ হাজার ২০০জন চাষি উপকৃত হবে। বন্যায় নষ্ট ফসলের ক্ষেত।  ছবি: বাংলানিউজ কুড়িগ্রাম জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান প্রধান বাংলানিউজকে জানান, চলতি মৌসুমের দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কারণে কৃষির ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক। সরকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন। আমন বীজতলা ছাড়াও করোনাকালীন এবং বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ২৭ হাজার ৭৬১জন সবজি চাষিকে পর্যায়ক্রমে প্রণোদনার আওতায় আনা হচ্ছে।

বাংলাদশে সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০২০
এফইএস/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।