ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

বগুড়ায় শেষ সময়ে মসলার বাজারে ক্রেতাদের ভিড়

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, কাওছার উল্লাহ আরিফ | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২০
বগুড়ায় শেষ সময়ে মসলার বাজারে ক্রেতাদের ভিড় রান্নায় মসলার চাহিদা পূরণে শেষ মুহূর্তে ক্রেতারা ব্যস্ত মসলা কেনায়।

বগুড়া: ঈদুল আজহা আসন্ন। আর তাই মসলার বাজারে এখন ক্রেতাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

প্রতি বছর কোরবানির ঈদের আগের দিন মসলার দাম বেড়ে যায়। রান্নায় মসলার চাহিদা পূরণে শেষ মুহূর্তে ক্রেতারা ব্যস্ত মসলা কেনায়।

শুক্রবার (৩১ জুলাই) দুপুরে বগুড়া শহরের ঐতিহ্যবাহী রাজাবাজার, ফতেহ আলী বাজার ও কলোনি বাজারে গেলে মসলার দোকানগুলোতে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। তালিকা ধরে দোকান থেকে মসলা কিনছে মানুষ, কেননা মাংসের তরকারিতে দারুণ স্বাদ আনতে মসলার কোনো বিকল্প নেই।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারগুলোতে সারিবদ্ধভাবে বস্তাভরে রাখা হয়েছে নানা রকম মসলা। ক্রেতাদের নজর কাড়তে দোকানে দোকানে বস্তাগুলোর মুখ খুলে রাখা হয়েছে।

সাধ ও সাধ্যের মধ্যে থেকে মসলা কিনতে ক্রেতারা দোকানে ভিড় করছেন। রাজাবাজারের জাহাঙ্গির স্টোরে বেশ কয়েকজন ক্রেতা ভিড় করে দাঁড়িয়েছিলে। থরে থরে সাজিয়ে রাখা মসলা দেখছিলেন তারা। এখানে কোনো দামদর চলে না। সবকিছু একদরে বিক্রি করা হয়। তাই উপস্থিত ক্রেতাদের অনেকেই নির্ধারিত দামে মসলা কেনেন। পাশের দোকানগুলোর চিত্রও একই রকম। ক্রেতা আসছেন, পণ্য কিনে চলে যাচ্ছেন। সেখানেও দরদামের কোনো সুযোগ নেই।

ফতেহ আলী বাজারের মসলা ব্যবসায়ী হারুন, হুমায়ুন, সাদিক বাংলানিউজকে জানান, এ বাজারে সাদা এলাচ, কালো এলাচ, দারুচিনি, জিরা, তেজপাতা, ধনিয়া, লং, গোল মরিচ, আদা, রসুন, মরিচ, হলুদ ও মরিচের গুঁড়া, পেঁয়াজসহ সব ধরনের মসলা জাতীয় পণ্য পাওয়া যায়।

তারা জানান, প্রত্যেক কোরবানির ঈদের আগেই মসলার দাম কিছুটা বাড়ে। এবারও তাই হয়েছে। কিছু মসলার দাম বেশি বেড়েছে। আবার অনেক মসলার দাম তেমন একটা বাড়েনি। কিছু কিছু মসলার দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে সীমিত লাভে পণ্য বেচাকেনা করছেন, দাবি বিক্রেতাদের।

খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে সাদা এলাচের, যা প্রতি কেজিতে বেড়েছে তিন থেকে চারশ’ টাকা পর্যন্ত। মান ভেদে এক কেজি সাদা এলাচ ২ হাজার ৬শ’ থেকে ৩ হাজার ৪শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজার ঘুরে জানা যায়, বর্তমানে রকমভেদে প্রতি কেজি কালো এলাচ ৬৯০ থেকে ৭৮০ টাকা, দারুচিনি ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা, জিরা ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা, কিসমিস ২৩০ থেকে ৩৪০ টাকা, তেজপাতা ১২০ টাকা, গোল মরিচ ৭০০ টাকা, লবঙ্গ ৭০০ টাকা, বজ ২৪০০ টাকা, ধনিয়া ১১০ টাকা, হলুদ গুঁড়া ১৮০ থেকে ২০০ টাকা, মরিচ গুঁড়া ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

ফয়সাল, জালাল, কুদরত আলী, জিহাদ হাসানসহ একাধিক ক্রেতা বাংলানিউজকে জানান, আগামীকাল ঈদ। আর তাই মসলা কেনা শেষ করতে হবে। প্রায় প্রতিটি দোকানে পর্যাপ্ত পরিমাণ মসলা থাকলেও কিছু মসলার দাম অনেক বেশি বলে অভিযোগ করেন ক্রেতারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জুলাই ৩১, ২০২০
কেইউএ/এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।