ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৭ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

করোনা সংকটে মৎস্যচাষিদের প্রণোদনা দেওয়ার আশ্বাস

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২০
করোনা সংকটে মৎস্যচাষিদের প্রণোদনা দেওয়ার আশ্বাস মতবিনিময় সভা।

ঢাকা: করোনা সংকট মোকাবিলায় মৎস্যচাষিদের ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ, কিস্তি স্থগিতকরণ ও প্রণোদনা দেওয়ার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একইসঙ্গে মৎস্য উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও রপ্তানি অব্যাহত রাখার জন্য মৎস্যখাতের অংশীজনদের যার যার জায়গা থেকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

শনিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর মৎস্য ভবনে মৎস্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘করোনা সংকটকালীন মৎস্য উৎপাদন, সরবরাহ, বিপণন ও রপ্তানি অব্যাহত রাখার বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও মৎস্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মৎস্য খাতের অংশীজনদের মতবিনিময় সভায় এ কথা জানানে হয়।

সভায় জানানো হয়, মৎস্যখাতের সমস্যাসমূহ সমাধানে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া এ সংক্রান্ত সমস্যা তাৎক্ষণিকভাবে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে স্থাপিত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণ কক্ষে হটলাইনের মাধ্যমে (হটলাইন নম্বর-০২-৯১২২৫৫৭) অবহিত করার জন্যও অনুরোধ জানানো হয়। সমস্যা সমাধানে মন্ত্রণালয় দ্রুততার সঙ্গে উদ্যোগ নেবে মর্মেও এ সময় জানানো হয়।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব বলেন, সরকার সবসময় আপনাদের পাশে আছে। মৎস্য পোনা পরিবহন, বাজারজাতকরণ, মোকাম সচল রাখার বিষয়ে জেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ করে মৎস্য অধিদপ্তর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। আপনারা মৎস্য সরবরাহ চেইন সচল রাখবেন।

এ সময় তিনি মৎস্য পোনা ও মৎস্য পণ্য দিনের বেলায় পরিহনের আহ্বান জানান। একইসঙ্গে সমস্যা সমাধান ও সৃষ্ট ক্ষতিপূরণে সরকার সাধ্যমত সবকিছু করবে মর্মে অংশীজনদের আশ্বাস দেন তিনি।

সভায় সংগঠনের নেতারা বর্তমান পরিস্থিতিতে মৎস্য পোনা পরিবহন ও বাজারজাতকরণে বাধা, মাছের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর গুজব, আমদানি করা মৎস্য খাদ্য উপকরণ ছাড়করণে বন্দর ও কাস্টমস জটিলতা, মাছের মোকাম বন্ধ থাকা, ব্যাংক ঋণের সুদ মওকুফ ও কিস্তি স্থগিতকরণ, রপ্তানি হ্রাস, চিংড়ি রপ্তানিতে প্রণোদনা বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ অ্যাসোসিয়েশন, ফিড ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ লাইভ অ্যান্ড চিলড ফুড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন, শ্রিম্প হ্যাচারি অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ এবং ফিস হ্যাচারি অ্যান্ড ফার্ম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের নেতারা সভায় উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ০৪, ২০২০
জিসিজি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।