ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

করোনার প্রভাবে পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে বিনিয়োগ করবে ব্যাংক

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৬, ২০২০
করোনার প্রভাবে পুঁজিবাজারে ধস ঠেকাতে বিনিয়োগ করবে ব্যাংক

ঢাকা: করোনার প্রভাবে দেশের পুঁজিবাজারে যে ধস নেমেছে তা কাটিয়ে উঠতে বুধবার (১৮ মার্চ) থেকে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুরু করবে। এতে করে পুঁজিবাজারের ধস ঠেকানো যাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সোমবার (১৬ মার্চ) সন্ধ্যায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সঙ্গে বৈঠকে বসেন দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকের শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিনিধিরা। সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানানো হয়।

এ সময় বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, দেশের পুঁজিবাজার উঠতে ছিল। হঠাৎ করে করোনা ভাইরাস আসার পর ভয় পেয়ে অনেকে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন। এখনই ওই ২০০ কোটি টাকা যেটা দেওয়া হয়েছে সেখানে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার মতো আছে। এখনই ওই টাকার সৎ ব্যবহার করা উচিত। বাংলাদেশ ব্যাংক যে শর্ত দিয়েছে তাতে প্রত্যেকটি ব্যাংক রাজি হয়েছে। শর্ত সাপেক্ষেই বুধবার (১৮ মার্চ) থেকে আমরা শেয়ার কেনার জন্য বসবো।

তিনি আরও বলেন, এখানে প্রায় ৫০টির মতো ব্যাংক রয়েছে। সবাই ২০০ কোটি টাকা করে একবারে কিনবে না। ক্রমান্বয়ে কিনবে। এটা মনিটরিং করা হবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। হঠাৎ করে একজন ২০ কোটি টাকার শেয়ার কিনবে এটা হবে না। যখন যা প্রয়োজন একটা বাজারে স্থিতিশীলতা আনার জন্য। ৫০০ বা ৬০০ কোটি টাকার বেশি যেন শেয়ার কেনা না হয়। কারণ হঠাৎ করে ১০০০ কোটি টাকার শেয়ার কেনা হলো, পরের দিন ধস হয়ে গেল এটা যেন না হয়।

এ সময় অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান আলী রেজা ইফতেখার বলেন, পুঁজিবাজারে এখন যে স্থবিরতা বিরাজ করছে, আস্তে আস্তে সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এটাই ছিল সভার মূল বিষয়। আমরা সরকারের প্রস্তাবের সঙ্গে মোটামুটিভাবে একমত। দুই-একটা বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বসে বুঝে নিতে। এখানে বড় ধরনের কিছু নাই।

দেশের ব্যাংকগুলো পুঁজিবাজারের বিনিয়োগ করবে বলে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে সবাই আতঙ্কগ্রস্ত। অনেকেই আছেন, পুঁজিবাজার থেকে শেয়ার বিক্রি করে চলে যাচ্ছেন। ১০ টাকার শেয়ার ৫ টাকায় বিক্রি করে চলে যাচ্ছেন। তাদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। আমরা আজকে বসেছি এখানে যে, তাদের জন্য কিছু করতে পারি কী না। এক্ষেত্রে আমাদের ব্যাংকগুলো হলো প্রাথমিক উৎস। তারা সবাই আশ্বস্ত করেছেন, তারা বিনিয়োগ করবেন। পুঁজিবাজারের কেউ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হন।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ভাইরাস যখন আসেনি, তখন বাজার ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছিল। চীনে যখন ভাইরাস হানা দিল সঙ্গে সঙ্গে মার্কেট কমা আরম্ভ করল। এই সময়ে সবাইকে যে জোর করে রাখব, সেই ব্যবস্থাও নেই। আমাদের খারাপ লাগে। জ্যেষ্ঠ নাগরিক হিসেবে আমাদের তো কিছু দায়িত্ব আছে।

বাংলাদেশ সময়: ২২৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ০৭, ২০২০
এমআইএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।