ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

মেলার টয়লেটে ধূমপায়ীদের কারণে ক্ষুব্ধ নারীরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
মেলার টয়লেটে ধূমপায়ীদের কারণে ক্ষুব্ধ নারীরা

ঢাকা: ক্রমেই জমে উঠতে শুরু করেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। ক্রেতাদের সমাগমে বিক্রি-বাট্টাও বেশ ভালো। পণ্যের মানের পাশাপাশি ব্যবস্থাপনা নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকলেও পাবলিক টয়লেট নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারী ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। 

তারা বলছেন, মেলার পরিবেশ ভালো। তবে পাবলিক টয়লেটকে একদল লোক ‘স্মোক জোনে’ পরিণত করেছে।

এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট যারা রয়েছেন তাদেরও কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।  

শনিবার (১৮ জানুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে এবং ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র দেখা গেছে।

জানা গেছে, ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলায় মোট ১২টি শৌচাগার রাখা হয়েছে। প্রতিটিতে রয়েছে দুটি পার্ট; একটি পুরুষ অন্যটি নারীদের জন্য সংরক্ষিত।  

এসব শৌচাগারের সামনে এক শ্রেণীর পুরুষ দর্শনার্থী ও মেলার বিভিন্ন স্টলের কর্মীরা ‘স্মোক জোন’ হিসেবে বেছে নিয়েছেন। নারী শৌচাগারের সামনে পুরুষদের প্রকাশ্যে ধূমপান করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারী দর্শনার্থীরা।

তাদের অভিযোগ, পুরুষরা নারী শৌচাগারের সামনে প্রকাশ্যে ধূমপান করায় অনেকেই প্রয়োজনের সময় যেতে পারছেন না।  কেউ-বা গেলেও এ পরিস্থিতি দেখে সেখান থেকে ফিরে আসছেন তারা।

উম্মে হাবিবা নামে এক দর্শনার্থী বলেন, মেলার নারী টয়লেটের সামনে এসে পুরুষেরা সিগারেট ফুঁকছেন। অনেক নারী-ই লোকলজ্জায় কিংবা অস্বস্তিতে ভোগায় কাউকে কিছু বলেন না। অনেকে আবার এ অবস্থা দেখে টয়লেটে যাওয়া থেকে বিরত থাকছেন। এটা তাদের স্বাস্থ্যের জন্যও ক্ষতিকর।  

‘মেলায় এত জায়গা থাকতে নারীদের টয়লেটের সামনেই কেন সিগারেট ফুঁকতে হবে। মেলা কমিটির উচিত ধূমপায়ীদের জন্য পর্যাপ্ত স্মোক জোন রাখা। ’ 

আবিদা নামে আরেক দর্শনার্থী বলেন, ‘আমি কয়েকবার টয়লেটে যেতে চেয়েও ফিরে এসেছি। এর প্রতিকার হওয়া দরকার, মেলা কমিটির উচিত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া। না হলে নারী দর্শনার্থীরা মেলায় এসে কিভাবে সময় পার করবেন!’

মেলার একটি স্টলে বিক্রয়কর্মীর কাজ করেন ফারহানা আক্তার মনি। সকাল ১০টা থেকে রাত অবদি থাকতে হয়। শৌচাগারে যাওয়া নিয়ে তারও রয়েছে তিক্ত অভিজ্ঞতা।  

তিনি বলেন, বাণিজ্যমেলার প্রতিটি স্টলেই নারী কর্মী রয়েছেন। এছঅড়া কয়েক হাজার নারী প্রতিদিন আসা যাওয়া করেন। কিন্তু নারীদের টয়লেটের ব্যবস্থা থাকলেও সেখানে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন অনেকে। এ বিষয়ে মেলা কর্তৃপক্ষকেও ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।  

তবে মেলার পরিবেশ সুষ্ঠু রাখতে যা যা করণীয় তার সবই করা হবে বলে জানালেন আয়োজক সংশ্লিষ্টরা।  

এ বিষয়ে মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সচিব আব্দুর রউফ বাংলানিউজকে বলেন, এতদিন পর্যন্ত বিষয়টা আমাদের নজরে ছিল না বা কেউ কোনো অভিযোগও দেয়নি।  

‘তবে মেলার পরিবেশ রক্ষায় আমরা সব ধরনের পদক্ষেপ নিতে রাজি আছি। এটা একটা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা, কোনোভাবেই এর পরিবেশ নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না। আমরা এটা অবশ্যই দেখেবো। ’

মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মেলায় ক্রেতা-দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবেন। এবছর ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৮, ২০২০
ইএআর/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।