ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

দৈনিক ৫ লাখ ব্যাগ সিমেন্ট উৎপাদন করবে বসুন্ধরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
দৈনিক ৫ লাখ ব্যাগ সিমেন্ট উৎপাদন করবে বসুন্ধরা

ঢাকা: আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যে ৫ লাখ ব্যাগ সিমেন্ট উৎপাদনের কথা জানিয়েছেন বসুন্ধরা গ্রুপের সিমেন্ট সেক্টরের চিফ মার্কেটিং অফিসার (সিএমও) খন্দকার কিংশুক হোসাইন। 

তিনি বলেছেন, দেশের একমাত্র সিমেন্ট হিসেবে এই সক্ষমতা অর্জন করতে যাচ্ছে বসুন্ধরা সিমেন্ট। যেখানে দেশের অন্যান্য সিমেন্ট কারখানাগুলো প্রতিদিন উৎপাদন করে ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার ব্যাগ সিমেন্ট।

শনিবার (১৬ নভেম্বর) ঢাকার শ্যামপুরের রিফা কনভেনশন সেন্টারে মতিঝিল এরিয়ার ঐতিহ্যবাহী ডিস্ট্রিবিউটর ‘মেসার্স ইউনাইটেড ব্রাদার্সে’র হালখাতা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে খন্দকার কিংশুক হোসাইন এসব কথা বলেন।  

মেসার্স ইউনাইটেড ব্রাদার্সের স্বত্ত্বাধিকারী শেখ মুরাদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি বসুন্ধরা সিমেন্টের এজিএম (সেলস) পলাশ আক্তার, ডিভিশনাল সেলস ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম সিদ্দিকী, এরিয়া সেলস ম্যানেজার আফিজুর রহমান প্রমুখ।  

বসুন্ধরা সিমেন্টের সিএমও খন্দকার কিংশুক হোসাইন বলেন, বসুন্ধরা সিমেন্টই দেশে প্রথম প্রতিদিন ৫ লাখ ব্যাগ সিমেন্ট উৎপাদন করতে যাচ্ছে। বর্তমানে আমাদের প্রতিদিন উৎপাদন হচ্ছে ৩ লাখ ব্যাগ সিমেন্ট। পদ্মাসেতু থেকে শুরু করে মেট্রোরেল, এলিভেটর এক্সপ্রেস, মাতাববাড়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় বড় স্থাপনাগুলো এখন বসুন্ধরা সিমেন্ট দিয়ে হচ্ছে।  

‘যেখানে দেশের অন্য কোনো কোম্পানির এক ব্যাগ সিমেন্টও ব্যবহার করা হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে দেশজুড়ে আমাদের ডিস্ট্রিবিউটরদের জন্য। তাই আপনাদের ছাড়া আমার, কোম্পানির বা মালিকের কারো অস্তিত্ব থাকবে না। আমরা সবাই ব্যবসায়ী। ব্যবসায় সবাই লাভ খুঁজি। এজন্য আমরা আমাদের ডিস্ট্রিবিউটরদের সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে সবসময় চেষ্টা করি। কারণ তারা বাঁচলে কোম্পানি বাঁচবে। ’

ডিস্ট্রিবিউটরদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনাদের কাছ থেকে আরো গঠনমূলক আলোচনা ও সমস্যাগুলো শুনতে চাই। এটা আমাদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য ভালো। তাই সমস্যাগুলো নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা করে ভালো কিছু দেওয়া যায় কিনা দেখবো।

র‌্যাফেল ড্রতে প্রথম পুরস্কার দেওয়া হয় ফ্রিজ।  ছবি: শাকিল/বাংলানিউজঅনুষ্ঠানে ডিস্ট্রিবিউটররা জানান, বাজারে সিমেন্ট বিক্রির ক্ষেত্রে দামে সমন্বয়হীনতার জন্য তাদের লোকসান গুনতে হয়। তাই গ্রুপের কাছে তাদের দাবি তারা যেন কর্পোরেট রেটে কোনো বাড়ির মালিকের কাছে সরাসরি সিমেন্ট বিক্রি না করে।  

একই সঙ্গে সিমেন্ট সরবরাহে ১০০ ব্যাগের কাভার্ডভ্যান সরবরাহ করার দাবি জানান তারা। তাহলে সহজে যেকোনো স্থানে সিমেন্ট দ্রুত ও কম খরচে সরবরাহ করা যাবে।
এ বিষয়ে কিংশুক হোসাইন বলেন, বসুন্ধরা সিমেন্ট কখনও কোনো বাড়ির মালিকদের কাছে সিমেন্ট বিক্রি করে না। আমরা শুধু বড় বড় স্থাপনা যেমন পদ্মাসেতু, মেট্রোরেলের মতো প্রকল্পে কর্পোরেট রেটে সিমেন্ট বিক্রি করে থাকি। তবে কিছু ডেভেলেপার কোম্পানি আছে তারা 
আমাদের কাছ থেকে কর্পোরেট রেটে সিমেন্ট কিনে থাকে। কিছু ক্ষেত্রে হয়তো তারা অবৈধভাবে এ কাজটি করে থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে আপনারা তথ্য প্রমাণ নিয়ে আমাদের কাছে এই অবৈধ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, আমরা ব্যবস্থা নেবো।  

বসুন্ধরা সিমেন্টের এজিএম (সেলস) পলাশ আক্তার বলেন, বসুন্ধরা সিমেন্ট আজকে এখানে এসেছে আপনাদের হাত ধরে। তাই আমরা কখনও আপনাদের ক্ষতি চাইতে পারি না। আমরা কখনও ডিস্ট্রিবিউটরের বাইরে সরাসরি সিমেন্ট কর্পোরেট রেটে বিক্রি করি না। দেশের সব বাজারে গ্রুপের নির্ধারিত দামেই সিমেন্ট বিক্রি করে থাকি।  

‘আর একটা সমস্যার কথা আপনারা বলেছেন, সেটা হলো সিমেন্ট সরবরাহে ১০০ ব্যাগের কাভার্ডভ্যান চেয়েছেন। এ বিষয়টি নিয়ে আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবো। তবে কোন কোন এলাকাতে প্রয়োজন তা আমাদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের কাছে জানালে আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। ’

অনুষ্ঠানে ঢাকার মতিঝিল এরিয়ার সেরা ১০ জন ডিস্ট্রিবিউটরকে পুরস্কৃত করা হয়। প্রথম পুরস্কার হিসেবে ফ্রিজ পেয়েছে লুনা ট্রেডার্স। দ্বিতীয় পুরস্কার ডিপ ফ্রিজ পেয়েছে খিলগাঁওয়ের বাবুল এন্টারপ্রাইজ। তৃতীয় পুরস্কার স্মার্টফোন পেয়েছে দনিয়ার বিসমিল্লাহ এন্টারপ্রাইজ। এরপর যথাক্রমে জাকারিয়া ট্রেডার্স পেয়েছে ৩৬ পিসের ডিনারসেট, ৩৪ পিসের ডিনারসেট পেয়েছে আরামবাগের যমুনা স্টিলমিলস, ওভেন পেয়েছে সায়মন ট্রেডার্স।  

৫ টি ফ্রাইপ্যান পেয়েছে মান্নান এন্টারপ্রাইজ ও মা-বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ এবং বিএম ট্রেডার্স পেয়েছেন রাইস কুকার।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৪২ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০১৯
জিসিজি/এমএ 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।