ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

কৃষি

সাকিবের কাঁকড়া খামারে রপ্তানি ছাড়িয়েছে ৪শ মে. টন

শেখ তানজির আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩, ২০১৯
সাকিবের কাঁকড়া খামারে রপ্তানি ছাড়িয়েছে ৪শ মে. টন

সাতক্ষীরা: আইলা দুর্গত মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা মাথায় রেখে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালীতে ৫০ বিঘা জমিতে গড়ে উঠেছে কাঁকড়া উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ খামার। খামারটিতে ৩০ হাজার বাক্সে কাঁকড়া মোটাতাজা শুরু করলেও এখন তা চার লাখে উন্নীত হয়েছে। কাজ করছে দুইশ শ্রমিক। গত দুই বছরে এ খামার থেকে অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, জার্মানি, ব্রিটেন ও সিঙ্গাপুরে রপ্তানি হয়েছে প্রায় ৪শ মেট্রিক টন কাঁকড়া।

চার বছর আগে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালীতে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের ‘পোস্টার বয়’ সাকিব আল হাসান গড়ে তোলেন ‘সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’ নামে কাঁকড়ার খামার। যা বর্তমানে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ভূমিকা রাখছে।

চার বছর ধরে উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখলেও এখনো পূর্ণতা পায়নি খামারটির। চলছে নির্মাণকাজ। আর তা শেষ হলেই আগামী বছরের যেকোন সময় সাকিব আল হাসান নিজে উপস্থিত হয়ে খামারটির উদ্বোধন করবেন বলে জানা গেছে।

‘সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’র চারজন উদ্যোক্তার মধ্যে অন্যতম জাতীয় দলের আরেক সাবেক ক্রিকেটার সগীর হোসেন পাভেল।

উপকূলে খামারটি গড়ে তোলার প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সাকিব নিজেই আমেরিকাতে দেখেছে সফট সেল কাঁকড়ার ব্যাপক চাহিদা। তাই একবার খুলনাতে খেলতে এলে ওর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তখন ও আইলা দুর্গত মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টির কথা মাথায় রেখে শ্যামনগরেই খামারটি গড়ে তোলার পক্ষে মত দেয়। সে অনুযায়ীই খামারটি গড়ে তোলা হয়।

কাঁকড়ার খামার।  ছবি: বাংলানিউজ

তিনি আরও জানান, সুন্দরবন থেকে আহরিত ও হ্যাচারি থেকে সংগ্রহকরা রেণু খামারে এনে মোটাতাজা করা হয়। এরপর তা প্রক্রিয়াজাত করে বিদেশে রপ্তানি করা হয়।  

কাঁকড়া রপ্তানি বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সাকিব আল হাসান বড় ভূমিকা পালন করেন। কারণ রপ্তানির জন্য ভালো বায়ার পাওয়া সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার।

সম্প্রতি বিশ্ব সেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের ওপর আইসিসি দুই বছরের জন্য সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। তবে দুই বছরের মধ্যে এক বছর পুরোপুরি নিষিদ্ধ, আর বাকি ১ এক বছর স্থগিত নিষেধাজ্ঞা অর্থাৎ খেলতে পারবেন কিন্তু আবারও অপরাধ করলে শাস্তি পেতে হবে।

এ নিষেধাজ্ঞার পরই সাকিব আল হাসান এখন কি করবেন তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়। আর ঠিক তখনই প্রকাশ্যে আসে সাকিব আল হাসান প্রতিষ্ঠিত ‘সাকিব অ্যাগ্রো ফার্ম লিমিটেড’।

ভিডিওটি দেখুন>>

                                           

বাংলাদেশ সময়: ০৮২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
আরএ/এমএমইউ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।