ঢাকা: ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) এ সপ্তাহে গড় লেনদেন কমেছে ৩২৪ কোটি টাকা। ২৯ আগস্ট থেকে ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার কার্যদিবস ডিএসইতে ৫ হাজার ৬৮১ কোটি ৯৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়।
অন্যদিকে এর আগের সপ্তাহে (২২ আগস্ট থেকে ২৬ আগস্ট) পাঁচ কার্যদিবসে ডিএসইতে ৮ হাজার ৭২০ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ওই সময় গড় লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৭৪৪ কোটি টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে গড় লেনদেন কমলেও বাজার মূলধন বেড়েছে উল্লেখযোগ্যহারে।
গত ২৪ আগস্ট মঙ্গলবার এসইসি’র বাজার পর্যালোচনা কমিটির সভায় মার্জিন ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে শেয়ারের সম্পদ মূল্য নির্ধারণ করে দেওয়ায় পর থেকেই বাজারে লেনদেন কমে যায়। এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে পুঁজিবাজারে তাদের মোট আমানতের সর্বোচ্চ ১০ ও ২৫ শতাংশ বিনিয়োগ সীমা নির্ধারণ করে দেওয়ায় গত দুই সপ্তাহ ধরে বাজারে লেনদেন কমে যাচ্ছে বলে বাজার বিশ্লেষকদের অভিমত।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ২ লাখ ৯৭ হাজার ৭৭৭ কোটি হলেও সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার তা ৩ লাখ ৩ হাজার ৫২৭ কোটি টাকায উন্নীত হয়। এ সময় ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ৫ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা।
সপ্তাহের প্রথম দুইদিন বাজার নিম্নমুখী থাকলেও শেষ দুই দিন ছিল বেশ চাঙ্গাভাব। বিশেষ করে বৃহস্পতিবার বাজারে বড় ধরনের মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। ওইদিন ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রায় সব কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ায় বাজার মূলধন ও সব সূচক বেড়ে যায়।
সপ্তাহ শেষে মুল্যবৃদ্ধির শীর্ষ দশ কোম্পানি হলো- দেশ গামেন্টস, সিএমসি কামাল, এইচ আর টেক্সটাইল, সায়হাম টেক্সটাইল,সোনালী আঁশ, সাভার রিফ্যাক্টরিজ, জুট স্পিনার্স, ইস্টান হাউজিং, মিরাকল এবং ৮ম আইসিবি মিউচুয়াল ফান্ড।
মূল্যহ্রাসের শীর্ষ ১০ কোম্পানি হলো- বেলিজিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড, ডেফোডিল কমপিউটার্স, স্কয়ার ফার্মা, বিএলটিসি, থিরাপিউটিকস, ইসলামিক ফাইন্যান্স, এশিয়া প্যাসেফিক, দি ঢাকা ডাইং, কে অ্যান্ড কিউ ও আলফা টোবাক্কো।
লেনদেনের শীর্ষ দশ কোম্পানির তালিকায় উঠে আসে বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সটেক্স লিমিটেড, বিএসআরএম স্টিল লিমিটেড, আফতাব অটোমোবাইলস, স্কয়ার টেক্সটাইল, তিতাস গ্যাস, ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ লিমিটেড, পিপলস লিজিং, বেক্সিমকো ফার্মা এবং আরএন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৩, ২০১০