ঢাকা, শুক্রবার, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

‘যোগ্যতা বিবেচনায় কোম্পানির আইপিও অনুমোদন’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
‘যোগ্যতা বিবেচনায় কোম্পানির আইপিও অনুমোদন’ অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সেকেন্ডারি মার্কেটে যোগ্যতা বিবেচনায় কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) অনুমোদন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেন। 

তিনি বলেছেন, পুঁজিবাজার থেকে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে অর্থ উত্তোলনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সেকেন্ডারি মার্কেটে লেনদেন শুরুর মাধ্যমে পুঁজিবাজারে যুক্ত হয়। কিন্তু বাজারের চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি হলে পুঁজিবাজারের ভারসম্য নষ্ট হয়।

এজন্য এখন থেকে সেকেন্ডারি মার্কেটে যোগ্যতা বিবেচনায় আইপিও অনুমোদন দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর অভিজাত একটি হোটেলে আয়োজিত ‘দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নে শেয়ারবাজারের গুরুত্ব’ শীর্ষক সেমিনারে ড. খায়রুল হোসেন এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, উচ্চ সুদে ঋণ নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে গিয়ে লোকসানে পড়ছেন উদ্যেক্তারা। সময় মতো শোধ না করায় বিপুল পরিমাণ ঋণ খেলাপি হওয়ার ঘটনাও ঘটছে। দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নে শেয়ারবাজারের বিকল্প কিছু হতে পারে না।  

সেমিনারে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম বলেন, দেশের ব্যাংক ঋণের সুদের হার ৯.৮৫ শতাংশ। এরপরও আমাদের উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ঋণের প্রতি আকর্ষণ বেশি। এতে একদিকে বিনিয়োগে ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে, অন্যদিকে বৃহৎ পুঁজি যোগান দিতে গিয়ে ব্যাংকগুলোও ঝুঁকির মুখে পড়ছে।  

তিনি বলেন, আমাদের নতুন ভালো আইপিও আনতে হবে। কিন্তু আইপিও অনুমোদনসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দীর্ঘসূত্রিতার কারণে নতুন কোম্পানিগুলো বাজারে আসছে না। সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনকে এ প্রতিবন্ধিকতা কাটিয়ে উঠতে হবে।  

অনুষ্ঠানে বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে ব্যাংকগুলো ৩ বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে আসতে বাধ্য হয়েছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও একই আইনি বাধ্যবাধকতার মধ্যে আনা যেতে পারে।  

‘আমার মেয়াদকালে ম্যারিকো বাংলাদেশকে ১১ শতাংশ প্রিমিয়াম দেওয়া হয়েছিল। ওই সময় অনেকেই তা প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্ঠা করেছে। কিন্তু এ কোম্পানিটির শেয়ার দর ২০১০ সালে ধসের পরও এখন শক্তিশালী অবস্থান রয়েছে। ’

 তিনি বলেন, বুকবিল্ডিং প্রক্রিয়ায় যে প্রাইসিং হচ্ছে তা কোম্পানির ফান্ডামেন্টালের সঙ্গে সামঞ্জস্য পাওয়া যাবে।

ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি শাকিল রিজভীর সভাপতিত্বে আয়োজিত সেমিমারে প্যানেল আলোচক ছিলেন বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের  সাবেক সভাপতি মো. ছায়েদুর রহমান,  ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ প্রমুখ।  

অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিজনেস আওয়ার টোয়েন্টিফোর.কমের প্রধান উপদেষ্টা আক্তার হোসেন সান্নামাত।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৮ 
ইএআর/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।