ঢাকা: ভূমিহীন, গৃহহীন ও দুর্দশাগ্রস্ত দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে আবাসন সুবিধা দিতে এক হাজার ১৬৯ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ন প্রকল্প চালু করতে যাচ্ছে সরকার। মঙ্গলবার এ প্রকল্পটি অনুমোদনের জন্য জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (একনেক) নির্বাহী কমিটির সভায় উপস্থাপন করা হবে।
পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
২০০৯ সালের ১২ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ‘আবাসকে’ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করতে একটি প্রকল্প গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। চলতি বছরের ৭ জুন প্রাক-মূল্যায়ন কমিটির (পিইসি) সভায় এটির উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) অনুমোদন করে তা একনেকে উপস্থাপনের সুপারিশ করা হয়।
এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে এক হাজার ১৬৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা। ২০১৪ সালে শেষ হবে প্রকল্প।
আশ্রয়ন প্রকল্পে দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫০ হাজার ভূমিহীন ও গৃহহীন এবং দুর্দশাগ্রস্ত দরিদ্র পরিবারের থাকার ব্যবস্থা করতে ৭ শ’ গ্রাম স্থাপন করা হবে। পাশাপাশি উপকূলীয় অঞ্চলে ২০ হাজার এবং দেশের অন্যান্য অঞ্চলে ৩০ হাজার মানুষের জন্য ঘর তৈরি, তিন পাবর্ত্যজেলায় মোট ৫৮০ আদিবাসী পরিবারের বাসিন্দাদের জন্য বিশেষ ধরনের বাড়ি নির্মাণ, ২০টি রাখাইন পরিবারের জন্য টং ঘর নির্মাণ করার পরিকল্পনা রয়েছে। প্রকল্পের আওতায় ৭ শ’ কমিউনিটি সেন্টার স্থাপন করা হবে। এর বাইরে ৭ শ’ কিলোমিটার রাস্তা, ড্রেন এবং কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ১৯৯৭ সালে আশ্রয়ন প্রকল্প (প্রথম পর্যায়) শুরু হয়। ১৬৪ কোটি টাকার ওই প্রকল্পের আওতায় ৪৯ হাজার ৬৪০ ভূমিহীন পরিবারকে করা হয় পুনর্বাসন। পরে বিএনপি সরকার ৫৬৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০০২ সালে ‘আবাসন দরিদ্র বিমোচন প্রকল্প’ শীর্ষক নতুন আরেকটি প্রকল্প হাতে নেয় যা বাস্তবায়নাধীন।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার অনুযায়ী সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বাড়াতে আশ্রয়ন প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরুর প্রক্রিয়া শুরু করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ‘আবাস’ এর তত্ত্বাবধানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, সমবায় অধিদপ্তর, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর, গণপূর্ত অধিদপ্তর, ত্রাণ ও পুর্নবাসন অধিদপ্তর, সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তর, বন অধিদপ্তর, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এবং সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পরিষদের সহায়তায় সারাদেশে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ করবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১০