ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

জনবলের অভাব: মহাপরিচালক

কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছে না বিএসটিআই’র ভেজালবিরোধী অভিযান

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৪৯ ঘণ্টা, আগস্ট ৩০, ২০১০
কাঙ্ক্ষিত ফল পাচ্ছে না বিএসটিআই’র ভেজালবিরোধী অভিযান

ঢকা: জনবলের অভাবে কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় ভেজালবিরোধী অভিযান চালাতে পারছে না বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনিস্টিটিউটের (বিএসটিআই)। এ কারণে অভিযানের পরও ভেজালকারীদের দৌরাত্ম্য কমছে না বলে মনে করেন সংস্থাটির কর্মকর্তারাও।

বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এ কে ফজলুল আহাদও এসব অভিযান নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। তিনিও এজন্য লোকবলের অভাবকে দায়ী করেন।

বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, সরকারের ভেজাল বিরোধী অভিযান জোরদার করা হলেও সার্বিক চিত্রের তেমন কোনো পরিবর্তন হচ্ছে না।

এ প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘অভিযানে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক কারখানার লাইসেন্স নেই। আবার যাদের আছে তারা বিএসটিআইয়ের শর্ত মানছে না। তাদের জেল-জরিমানায় দন্ডিত করা হলেও দ- শেষে আবার ভেজাল পণ্য তৈরি শুরু করে।

সম্প্রতি বিএসটিআইয়ের উদ্যোগে বিপুল পরিমাণ রাসায়নিকমিশ্রিত ভেজাল মুড়ি বুড়িগঙ্গায় ফেলার পরও এসবের উৎপাদন বন্ধ হওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।

বিএসটিআই সূত্রে জানা গেছে, চলতি রমজান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত বিএসটিআই চারটি অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে মামলা হয়েছে ২২টি। জরিমানা বাবদ আদায় হয়েছে আড়াই লাখ টাকা। এর আগে গত জুলাইতে ১২৬টি অভিযানে মামলা হয়েছিল ১৩৯টি। সে সময় জারিমানা বাবদ আদায় হয়েছে ৩৬ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকা।

অপরদিকে, ২০০৯-এর জুলাই থেকে ২০১০-এর জুন পর্যন্ত এক বছরে এক হাজার ৫১৩টি অভিযানে মামলা হয়েছে এক হাজার ৮২২টি। এগুলোর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছিল এক হাজার ৮০৭টি। জরিমানা আদায় হয়েছে ৪ কোটি ৪৯ লাখ ১৪ হাজার টাকা। এসময় ৩০ ব্যক্তিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ-ও দেওয়া হয়েছে।

বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এ কে ফজলুল আহাদ অভিযানের অপর্যাপ্ততার কথা স্বীকার করে বলেন, ‘ভেজালবিরোধী অভিযান পরিচালনায় প্রয়োজন অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেট পাওয়া  যায় না। যারা আছেন তাদের অনেকেই অনভিজ্ঞ। ফলে কাক্সিক্ষত মাত্রায় অভিযান পরিচালনা করা যাচ্ছে না। ’

ঢাকা মহানগরীর জন্য বিএসটিআইয়ের মাত্র ৫ জন ম্যাজিস্ট্রেট রয়েছেন বলেও জানান তিনি।

রমজানে সঙ্কট আরও প্রকট হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘নিজেদের উদ্যোগে ভেজালের বিরুদ্ধে আমরা বছরের পুরো সময়ই কাজ করছি। রমজান মাসে র‌্যাব ও ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরও ভেজালবিরোধী অভিযানে নেমেছে। তাদের সঙ্গেও আমাদের প্রতিনিধি দিতে হচ্ছে। এতে জনবল সঙ্কটের পাশাপাশি চাপও বেড়ে যাচ্ছে। ’

সিলগালার পরপরই দন্ডিতরা আবার কার্যক্রম শুরু করে দেয় বলে যে অভিযোগ রয়েছে তা অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘চাপ আসে, তবে আইনেরও তো শক্তি আছে। ’

এ সময় তিনি ভেজাল সম্পর্কিত যে কোনো তথ্য বিএসটিআইকে জানানোর জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘অভিযোগ পেলে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ওই ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। ’

বাংলাদেশ সময় ১৬৩০ ঘণ্টা, ৩০ আগস্ট, ২০১০।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।