ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

কৃষি

বৃষ্টিতে আমন চাষিদের স্বস্তি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
বৃষ্টিতে আমন চাষিদের স্বস্তি আমন ধানের ক্ষেত

লক্ষ্মীপুর: দুই সপ্তাহ পর বৃষ্টির দেখা মিলেছে। শুকিয়ে যাওয়া আমনের জমিতে জমেছে পানি। ফোটা ফোটা বৃষ্টিতে ধানগাছ যেন প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সজীব-সতেজ হয়ে উঠছে ফসলের মাঠ। এতে স্বস্তি এসেছে লক্ষ্মীপুরের আমন চাষিদের।

রোপা আমন বৃষ্টি নির্ভর। এ মৌসুমে বৃষ্টির ওপর ভরসা করেই কৃষকরা আমন চাষ করেন।

কিন্তু লক্ষ্মীপুরে টানা দুই সপ্তাহ ধরে বৃষ্টি না হওয়ায় শুকিয়ে যায় আমন ক্ষেত। ধানগাছ বাঁচাতে হতাশায় পড়েন কৃষকরা। অবশেষে বৃষ্টির দেখা পেয়ে কৃষকদের হতাশা কেটেছে।

ঘুর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে বুধবার (১০ অক্টোবর) থেকে বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) বিকেল পর্যন্ত জেলার সর্বত্র বৃষ্টি হয়। এতে আমন ক্ষেতে পানি জমে কৃষকদের কাঙ্ক্ষিত পানির প্রত্যাশা পূরণ হয়।

কমলনগর উপজেলার চর মার্টিন গ্রামের প্রান্তিক কৃষক দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, বৃষ্টির দেখা না পেয়ে খাল থেকে শ্যালো মেশিনে পানি উঠিয়ে ধানগাছ বাঁচানোর চেষ্টা করেছি। বৃষ্টি হওয়ায় তার আর বাড়তি খচর গুণতে হবে না।
আমন ধানের ক্ষেতকমলনগর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. ইকতারুল ইসলাম বলেন, চলতি মৌসুমে ব্যাপকহারে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। তবে মৌসুমের মাঝামাঝি সময় বৃষ্টি না হওয়ায় চিন্তায় পড়েন কৃষকরা। গত ২৪ ঘণ্টার বৃষ্টিতে কৃষকদের মাঝে স্তস্তি ফিরেছে।

লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালকের কার্যালয় থেকে জানা গেছে, চলতি রোপা আমন মৌসুমে লক্ষ্মীপুরের ৫ উপজেলায় ৭২ হাজার  ৫৯৭ হেক্টর জমিতে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়।  

এদিকে আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অর্জিত হয়েছে ৭৭ হাজার ৮৯০ হেক্টর। এরমধ্যে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা উফশী জাতের ১৯ হাজার ২৩০ হেক্টর, স্থানীয় জাতের ২ হাজার ১০০ হেক্টর, হাইব্রিড ৫০ হেক্টর। রায়পুরে হাইব্রিড ১ হাজার হেক্টর, উফশী ৯ হাজার, স্থানীয় ১৫০ হেক্টর জমিতে আমন আবাদ হয়েছে।  

এছাড়া রামগঞ্জে ৩ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে উফশী ধানের আবাদ করে কৃষকরা। কমলনগরে উফশী ২২ হাজার হেক্টর, স্থানীয় জাতের ১ হাজার ৫০০ হেক্টর ও কমলনগরে  ১৮ হাজর ২৬০ হেক্টরে উফশী এবং ১ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ করা হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. বেলাল হোসেন খান বলেন, চলতি মৌসুমে রোপা আমন আবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে। প্রত্যাশিত ফসল উৎপাদনে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারাসহ কৃষি বিভাগ কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে আসছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কাঙ্ক্ষিত ফসল পাওয়া যাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০১৮
এসআর/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।