ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫

শেয়ারবাজার

রানার অটোমোবাইলসের বিডিং শুরু সোমবার

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৯, ২০১৮
রানার অটোমোবাইলসের বিডিং শুরু সোমবার

ঢাকা: রানার অটোমোবাইলস লিমিটেডের বিডিং (নিলাম) শুরু হবে সোমবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায়। চলবে বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এতে অংশগ্রহণ করবেন প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোম্পানি সচিব নজরুল ইসলাম। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, কোম্পানিটির প্রতিটি শেয়ারের কাট অব প্রাইস নির্ধারণের লক্ষ্যে এ বিডিং শুরু হবে সোমবার বিকেল ৫টায়।

যা চলবে 
বৃহস্পতিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা পর্যন্ত।

বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে পুঁজিবাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য অনুমোদন পাওয়া কোম্পানিটির কাট-অফ প্রাইস সর্বোচ্চ ৪৪ টাকা হতে পারে বলে জানিয়েছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ‘আর্নিংস বেজড ভ্যালু পার শেয়ার’ পদ্ধতিতে কোম্পানিটির এ যোগ্যতা আসে।

বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে যে কোনো কোম্পানির শেয়ার দাম বিবেচনায় ‘হিস্ট্রোরিকাল আর্নিংস বেজড ভ্যালু পার শেয়ার’ পদ্ধতিকে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নেওয়া হয়। এক্ষেত্রে প্রথমে কোম্পানির শেষ ৫ বছরের ওয়েটেড শেয়ারপ্রতি মুনাফাকে মূল্য-আয় অনুপাত (পিই রেশিও) ১০ দিয়ে গুণ করা হয়। এরপরে শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ (এনএভিপিএস) যোগ করার পরে ২ দিয়ে ভাগ করে এ দাম নির্ধারণ করা হয়। এ পদ্ধতিতে রানার অটোমোবাইলসের শেয়ার দাম হয় সর্বোচ্চ ৪৪ টাকা।

চলতি বছরের ১০ জুলাই (মঙ্গলবার) পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) রানারকে শেয়ার ছেড়ে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলনের জন্য অনুমোদন দেয়। এতে বলা হয়, রানারকে বুক বিল্ডিং পদ্ধতিতে ইলেক্ট্রনিক বিডিং সম্পাদনের মাধ্যমে (প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের) প্রান্ত-সীমা (কাট অব প্রাইস) নির্ধারণের জন্য অনুমোদন করা হয়েছে।  

কোম্পানিটি আইপিওর মাধ্যমে বাজার থেকে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এ টাকায় গবেষণা ও উন্নয়ন, যন্ত্রপাতি ক্রয়, ব্যাংক ঋণ পরিশোধ ও প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের ব্যয় বাবদ খরচ করবে।
 
এতে আরো বলা হয়, ৩০ জুন ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী কোম্পানির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) ৩ টাকা ৩১ পয়সায় দাঁড়িয়েছে।
 
একই বছরে কোম্পানির সম্পদ পুনর্মূল্যায়ন পরবর্তী শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) ছিলো ৫৫ টাকা ৭০ পয়সা। আর পুনর্মূল্যায়ন ছাড়া এনএভি ৪১ টাকা ৯৪ পয়সা।
 
কোম্পানিটির ইস্যু ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। আর রেজিস্ট্রার টু দি ইস্যু হিসেবে কাজ করছে লংকাবাংলা ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৩২৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৯, ২০১৮
এমআই/এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।