ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আবার গতি পাচ্ছে বেসরকারিকরণ কার্যক্রম

সোহেল রহমান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৭, ২০১০
আবার গতি পাচ্ছে বেসরকারিকরণ কার্যক্রম

ঢাকা: আবার গতি পাচ্ছে শিল্প বেসরকারিকরণ কার্যক্রম। এ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করতে নয়া শিল্পনীতিতে বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।

ফলে রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ ও লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো বেসরকারিকরণ করতে সরকারের নীতিগতভাবে আর কোনো বাধা রইলো না।

এর আগে গত ২২ এপ্রিল নীতি-নির্র্ধারক মহলের এক উচ্চ পর্যায়ের সভায় বেসরকারিকরণ-প্রক্রিয়াধীন ও নতুন লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলো কমিশনের কাছে হস্তান্তরের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

উল্লেখ্য, সরকারের সিদ্ধান্তহীনতার ফলে এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বেসরকারিকরণ কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছিল। এ সময় বেসরকারিকরণ নীতি ও বন্ধ রাষ্ট্রায়ত্ত শিল্প-কারখানা চালু করা নিয়ে শিল্প, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে দ্বন্দে¡ জড়িয়ে পড়ে বেসরকারিকরণ কমিশন। আর বিতর্কের কারণ, গত বছরের এপ্রিলে শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক ঘোষিত খসড়া শিল্পনীতি।

শিল্পনীতির ওই প্রাথমিক খসড়ায় রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ কারখানা চালু ও সম্ভাব্যতা যাচাই সাপেক্ষে লোকসানি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে বিরাষ্ট্রীয়করণের আগে লাভজনক করার সুপারিশ করা হয়েছিল। কিন্তু পরে তা সংশোধন করা হয়।

বেসরকারিকরণ কমিশন জানায়, বর্তমান সরকার স্বচ্ছতা ও নিবিড় পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে দেশের বন্ধ ও রুগ্ন শিল্প-কারখানা বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নিয়েছে। জাতীয় অর্থনীতিতে গতিশীলতা আনতে দেশের শিল্প-কারখানা যোগ্য উদ্যোক্তাদের হাতে দিয়ে এগুলোকে লাভজনক শিল্প হিসেবে গড়ে তোলাই বেসরকারিকরণের মূল লক্ষ্য।

কিন্তু পাট, বস্ত্র ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিরোধিতার কারণে গত দেড় বছর ধরে থেমে আছে বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়া। এমনকী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনিচ্ছায় ইতোমধ্যে বিক্রি হওয়া একাধিক কোম্পানিও হস্তান্তর করতে পারেনি কমিশন।
     
সরকারের বেসরকারিকরণ নীতির পক্ষে মত ব্যক্ত করতে গিয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মির্জা আবদুল জলিল সম্প্রতি বলেন, “শিল্প-কারখানা চালানো ও ব্যবসা করা সরকারের কাজ নয়। কোটি কোটি টাকা লোকসানের বোঝা ও শিল্প চালানোর ক্ষমতা সরকারের নেই। তাই, বেসরকারিকরণ করতেই হবে”।

বেসরকারিকরণ কমিশন সূত্র মতে, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর এ পর্যন্ত ৫শ ৬০টি শিল্প-কারখানা বেসরকারিকরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রাইভেটাইজেশন বোর্ড গঠিত হওয়ার আগে বেসরকারিকরণ করা হয়েছে ৪শ ৮৬টি, প্রাইভেটাইজেশন বোর্ডের কার্যকালে ২০টি এবং প্রাইভেটাইজেশন কমিশন গঠিত হওয়ার পর বেসরকারিকরণ করা হয়েছে ৭৪টি শিল্প-কারখানা। এগুলোর মধ্যে ৫৪টি শিল্প-কারখানা হস্তান্তর করা হয়েছে সরাসরি বিক্রির মাধ্যমে এবং ২০টি শিল্প-কারখানার সরকারি শেয়ার হস্তান্তর করা হয়েছে।

বর্তমানে ২৩টি প্রতিষ্ঠান বেসরকারিকরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এর মধ্যে বর্তমান সরকার মতায় আসার পর গত ফেব্রুয়ারি মাসে বিজেএমসি, বিটিএমসি ও তাঁত বোর্ডের আওতাধীন ১২টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা বেসরকারিকরণ কমিশনে পাঠানো হয়।

বাংলাদেশ স্থানীয় সময় : ১৬২৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১০

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।