ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

খুলনায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৭ ঘণ্টা, জুলাই ২৮, ২০১৮
খুলনায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী সফল মাছ চাষিদের সনদ দেওয়া হচ্ছে-ছবি-বাংলানিউজ

খুলনা: খুলনায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের সমাপনী, মূল্যায়ন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৮ জুলাই) দুপুরে মহানগরীর গল্লামারীস্থ মৎস্য বীজ উৎপাদন খামার সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান।

প্রধান অতিথি তার বক্তৃতায় বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অঞ্চলের উন্নয়নে অত্যন্ত আন্তরিক।

তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বর্তমানে মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অর্থনীতিতে মৎস্য সেক্টর অবদান রাখছে। মাছ চাষ করে আরও উৎপাদন বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মৎস্যখাত, অর্থনৈতিক, সামাজিকসহ সব সেক্টর দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে।  

তিনি বলেন, দেশের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে দরিদ্র মৎস্যজীবীদের আয় বেড়েছে। সেইসঙ্গে অতিরিক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপ-পরিচালক রণজিৎ কুমার পাল এবং খুলনা বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএফএফইএ) ভাইস প্রেসিডেন্ট সেখ মো. আব্দুল বাকী।

স্বাগত বক্তৃতা করেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবু ছাইদ।  অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন পাইকগাছা বিএফআরআই-এর উপ-পরিচালক মিসেস নিলুফার বেগম, মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি নূর মোহাম্মদ শিকদার এবং চিংড়ি চাষী মো. আব্দুল গফুর খান।

জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি মাছ চাষে অবদানের জন্য ছয়জন সফল মৎস্য চাষী এবং মৎস্য পণ্য রফতানিকারক ও গুণগতমানের জন্য পাঁচটি সফল প্রতিষ্ঠানকে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করেন। এছাড়া তিনি তিন দিনব্যাপী মৎস্য মেলায় বিজয়ীদের মধ্যে ও স্টল প্রতিনিধিদের মধ্যেও পুরস্কার বিতরণ করেন।

উল্লেখ্য, এবছর মাছ চাষে সফল মৎস্যচাষীরা হলেন-বটিয়াঘাটার মো. খাইরুল ইসলাম, রূপসার গাউছুল হক লস্কর, ফুলতলার মো. আশরাফ সরদার, দিঘলিয়ার মো. উজ্জ্বল গাজী, ডুমুরিয়ার সুজিত মণ্ডল ও দাকোপের মো. জাহিদুর রহমান।  

মৎস্য পণ্য রফতানিকারক ও গুণগতমানের জন্য সফল প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- জয় ফিড মিলস লিমিটেড, জালালাবাদ ফ্রোজেন ফুডস লিমিটেড, রূপসা;  ফ্রেস ফুডস লিমিটেড, রূপসা; সউদার্ন ফুডস লিমিটেড, রূপসা এবং এটলাস সী ফুডস লিমিটেড।

বাংলাদেশ সময়: ১৬২৭ ঘণ্টা,  জুলাই ২৮, ২০১৮
এমআরএম/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।