ঢাকা, শনিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩১, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

আধুনিক-রুচিশীল পণ্যের সমাহার আজিজ মার্কেটে

হোসাইন মোহাম্মদ সাগর, ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
আধুনিক-রুচিশীল পণ্যের সমাহার আজিজ মার্কেটে আজিজ সুপার মার্কেটে পোশাক দেখছেন ক্রেতারা। ছবি: শাকিল আহমেদ।

ঢাকা: ঈদের আমেজ নিয়ে ক্রেতাদের স্বাগত জানাতে বাহারি ফ্যাশনেবল পোশাক এবং আলোকোজ্জ্বল সাজ-সজ্জায় ভরে উঠেছে রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেটের দোকানগুলো।

বর্তমান সময়ের ফ্যাশনেবল তরুণ-তরুণীদের অন্যতম পছন্দের স্থান হয়ে গেছে আজিজ সুপার মার্কেট। বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের পদচারণ চোখে পড়ার মতো এখানে।

সাশ্রয়ী দাম ও ভিন্নধর্মী ডিজাইনের কারণে এ যুগের তরুণ-তরুণীদের প্রথম পছন্দ এ মার্কেটটি।

মঙ্গলবার (২৯ মে) এ মার্কেটে কথা হয় বুয়েটের শিক্ষার্থী হাফিজুল ইসলামের সঙ্গে। বন্ধুদের নিয়ে ঈদের কেনাকাটা করতে এসেছেন তিনি।  

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, সাধ্যের মধ্যে রুচিশীল পোশাক কিনতে আজিজ সুপার মার্কেটের বিকল্প খুব কম। এছাড়া এখানকার পোশাকে একটা দেশীয় আবহ আছে যা আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লাগে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফারিয়া জানান, আজিজ মার্কেটের পোশাকগুলো বেশিরভাগই তৈরি হয় দেশীয় তাঁতের কাপড়ের ওপর। ডিজাইন ও কাপড়ের মানের দিক থেকে অন্য মার্কেটের তুলনায় এগুলো অনেক ভালো। দামটাও সাধ্যের মধ্যে।

মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, এখানে টি-শার্ট ও পলো টি-শার্ট ২০০ থেকে ৭০০ টাকা, পাঞ্জাবি ৮০০ থেকে ২৫০০ টাকা, ফতুয়া ৫০০ থেকে ১২০০ টাকা, প্যান্ট এক থেকে দুই হাজার টাকা এবং শার্ট ৪৫০ থেকে ১৮০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাচ্ছে।

মেয়েদের শাড়ি ৮৫০ থেকে সাড়ে পাঁচ হাজার টাকা, টপস ৮৫০ থেকে ১৫০০ টাকা, মেয়েদের ফতুয়া ৬০০ থেকে শুরু করে ১২০০ টাকা এবং সালোয়ার-কামিজের দাম পড়বে ৭৫০ থেকে পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত।

এছাড়া মেয়েদের ফতুয়া, লং কামিজ, সালোয়ার-কামিজ, থ্রি-পিস, ম্যাচিং ওড়না, সালোয়ার, জুয়েলারি সবকিছুই পাওয়া যাবে এ মার্কেটে। আছে বাচ্চাদের বাহারি ডিজাইনের পোশাকও। তবে পসরা সাজিয়ে বসলেও এখনও ঈদের বেচাবিক্রি শুরু হয়নি বলেই জানালেন এ মার্কেটের বিক্রেতারা।

ঈদের বেচাবিক্রি নিয়ে নন্দন কুটিরের হিরা আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, ঈদের বিক্রি এখনও শুরু হয়নি। তবে সাধারণ সময়ের তুলনায় এখন বিক্রি তুলনামূলক বেশি। মাসের মাঝামাঝিতে রোজা শুরু হওয়ায় এমনটা হতে পারে। জুনের ৩ বা ৪ তারিখের দিকে মূল বেচাবিক্রি শুরু হবে বলে আশা করছি। আর ঈদ উপলক্ষে আনা হয়েছে নতুন ধাঁচের ফ্যাশনেবল পোশাকও।

আজিজ সুপার মার্কেটের খেয়া, নববী, আরশি, সিলভার রেইন, বিসর্গ, ঢাক ঢোল, নক্ষত্র, বৃত্ত, বালুচর, মেঠো পথ, ঐশী, দেশীয়া, সাতকাহন, বরণ, কাপড় ই-বাংলাসহ প্রায় সব শো-রুমেই উঠেছে নতুন পোশাক। আধুনিক ও বৈচিত্র্যময় রুচিশীল পণ্যের সমাহার নিয়ে এখন ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ের জন্য অপেক্ষায় এ মার্কেটের বিক্রেতারা।

মঙ্গলবার সাধারণত আজিজ সুপার মার্কেট বন্ধ থাকলেও আসন্ন ঈদ উপলক্ষে মার্কেটটি খোলা রেখেছে কর্তৃপক্ষ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪০ ঘণ্টা, মে ২৯, ২০১৮
এইচএমএস/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
welcome-ad