ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

অর্থনীতি-ব্যবসা

২০২১ সালে আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর হিসেবে চালু হবে পায়রা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬০৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
২০২১ সালে আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর হিসেবে চালু হবে পায়রা সংবাদ সম্মেলন, ছবি: বাংলানিউজ

পটুয়াখালী: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় অবস্থিত দেশের তৃতীয় সমুদ্রবন্দর পায়রাকে ২০২১ সালের মধ্য আন্তর্জাতিক সমুদ্রবন্দর হিসেবে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বন্দরের চেয়ারম্যান কমোডর এম জাহাঙ্গীর আলম।

বৃহস্পতিবার (১০ মে) বিকেলে পায়রা বন্দরের সম্মেলন কক্ষে চলমান উন্নয়ন কাজের অগ্রগতি বিষয়ে  আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

তিনি জানান, পায়রা গভীর সমুদ্র বন্দরের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো/সুবিধাদির উন্নয়ন শীর্ষক প্রকল্পটি ২০১৫ সালের ২৯ অক্টোবরে একনেক কর্তৃক অনুমোদিত হয়।

প্রথম উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) মূল বরাদ্দ ছিলো ১ হাজার ১২৮ কোটি ৪৩ লাখ ৩১ হাজার টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় এ পর্যন্ত ১ হাজার ৪২৭ দশমিক ৪৯ একর ভূমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।

জমি অধিগ্রহণের সংশোধিত মূল্য বাবদ ১২ শত ২২ কোটি ৮ লাখ ৮৮ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে। পায়রা বন্দর নির্মাণে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পূণর্বাসনের জন্য এক হাজার ৫৯ কোটি টাকা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের প্রশিক্ষণের জন্য ২৫ কোটি টাকাসহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজ সংশোধিত ডিপিপিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। গত ২০ মার্চ ৩ হাজার ৩৫০ কোটি ৫১ লাখ ৯ হাজার টাকা সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (আরডিপিপি) একনেকে অনুমোদিত হয়েছে।

তিনি জানান, ভূমি অধিগ্রহণের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের পূর্ণবাসনের জন্য ৪৯৩ একর জায়গায় সাড়ে ৩ হাজার বাড়িসহ মসজিদ, স্কুল ইত্যাদি নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী চার হাজার ২শ’ জনকে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত মেয়াদে ৩৫টি শ্রেণিতে কারিগরি ও কর্মসংস্থানমূলক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্তদের কর্মসংস্থান হবে, এগিয়ে যাবে জীবন-জীবিকা।

পায়রা বন্দরের কার্যক্রম গতিশীল করতে সরকার অনুমোদিত ১৭৮ পদের বিপরীতে নিয়োগ কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যেখানে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যসহ পটুয়াখালী জেলার বাসিন্দাদের অগ্রধিকার দেওয়া হচ্ছে।

ক্যাপিটাল ও মেইনটেনেন্স ড্রেজিং, কয়লা টার্মিনাল (ড্রাই বাল্ক) এবং জিওবি অর্থায়নে একটি টার্মিনাল নির্মাণ ২০২০ সালের মধ্যে সম্পন্ন করে পায়রা বন্দরকে ২০২১ সাল থেকে আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর হিসেবে পুরোপুরি চালু করা হবে। ইতোমধ্যেই ক্যাপিটাল ড্রেজিংয়ের জন্য পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নেদারল্যান্ডের রয়েল হাসকনিংকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ক্যাপিটাল ও মেইনটেনেন্স ড্রেজিংয়ের কাজটি বাস্তবায়ন করবে বিশ্ব বিখ্যাত কোম্পানি বেলজিয়ামের জান-ডি-নাল। এ বছরের ডিসেম্বর নাগাদ প্রতিষ্ঠানটি কাজ শুরু করবে বলেও জানান তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন) কমান্ডার (অব) এম রাফিউল হাসান, সদস্য (প্রকৌশল) ক্যাপ্টেন মো. মনিরুজ্জামান, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কমান্ডার কে এম জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৫ ঘণ্টা, মে ১০, ২০১৮
এমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।